বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নিজেদের প্রতিনিধি অফিস(ডিবিএস ঢাকা) চালু করার ঘোষণা দিয়েছে(১৬’ই নভেম্বর) সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক ডিবিএস ব্যাংক। ঢাকায় প্রতিনিধি অফিস খোলার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে ব্যাংকটির উপস্থিতি স¤প্রসারণ করা হবে বলে জানানো হয়। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ১৯টি দেশে ব্যাংকটির প্রতিনিধি অফিস খোলা হবে। গত দুই দশক ধরে সিঙ্গাপুরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানি অংশীদার ছিল সিঙ্গাপুর; যেখান থেকে মোট আনুমানিক ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.২৩ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার) মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়। একইসাথে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ ও লজিস্টিকস এবং বন্দর খাতে শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। নিকট ভবিষ্যৎ থেকে মধ্য মেয়াদী ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে এবং বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এটা সম্ভব হবে। ডিবিএস মনে করে, এক্ষেত্রে উত্তর এশিয়া ও ভারতের অংশীদাররা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাণিজ্যে অর্থায়ন এবং এ সংশ্লিষ্ট পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততা বজায় রেখে চলেছে ডিবিএস; পাশাপাশি, বাংলাদেশে প্রকল্প বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রয়েছে ডিবিএস -এর। এখন বাংলাদেশে প্রতিনিধি অফিস খোলার মাধ্যমে দেশে ব্যাংকটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে, একইসাথে, বিশ্বজুড়ে ডিবিএস গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনেও মিড-টার্ম ভূমিকা পালন করবে ডিবিএস ঢাকা।

ডিবিএস ঢাকার প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে তাহসিনা বানুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২০’বছরেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্য সুনামের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তাহসিনা বানুর হোলসেল ব্যাংকিং, ট্রেড অপারেশনস ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’সহ ব্যাংকিং ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে। ঢাকায় ডিবিএস ব্যাংকের প্রতিনিধি অফিস খোলার ব্যাপারে ডিবিএস’র গ্রপ হেড অব ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং গ্রপ, তান সু’শান বলেন, “সিঙ্গাপুর যখন এ বছর বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে, আমরা মনে করি বাংলাদেশের মতো এমন দ্রতবর্ধনশীল বাজারে বিনিয়োগ করার এটাই সঠিক সময়। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে। ফলে, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও, আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য করতে চায় ডিবিএস -এর এমন গ্রাহকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তাই, এ অঞ্চলে আমাদের গ্রাহকদের বিনিয়োগ ও স¤প্রসারণের পরিকল্পনায় সর্বাত্মক সহায়তার প্রতিশ্রতির অংশ হিসেবেই এই প্রতিনিধি অফিস খোলা হবে।” ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ১৪ বছর গ্লোবাল ফাইন্যান্স কর্তৃক ‘সেইফেস্ট ব্যাংক ইন এশিয়া’ পুরস্কার অর্জন করে ডিবিএস ব্যাংক। পাশাপাশি, এই আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল পাবলিকেশন গ্লোবাল ফাইন্যান্সের ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট ব্যাংক’ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে ব্যাংকটি। ২০১৮ থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো ম্যাগাজিনটির শীর্ষস্থানের এই সম্মানে ভূষিত হলো ব্যাংকটি। এছাড়াও, গত ৫ বছরের মধ্যে এটি ব্যাংকটির সপ্তম ‘গ্লোবাল বেস্ট ব্যাংক’ স্বীকৃতি অর্জন। এ’খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং খাতকে ডিবিএস যে নতুন মাত্রা দিবে তারই প্রতিফলন সম্মানজনক এসব অর্জন।

ডবিএিস এশয়িার র্শীষস্থানীয় ফাইন্যান্সয়িাল র্সাভসি গ্রুপ। ১৯টি দশেে প্রতষ্ঠিানটরি র্কাযক্রম রয়েছে। সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত ব্যাংকটির সদর দপ্তরওসিঙ্গাপুরে অবস্থতি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে