চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৬৬ কিলোমিটারজুড়ে আছে ৫০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এতে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ। মহাসড়কের দুই পাশে তৈরি হয়েছে অবৈধ স্থাপনা এবং অসংখ্য হাট-বাজার। সড়কে তৈরি হচ্ছে যানজট, দুই ঘণ্টার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ১৫৫’কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মহাসড়কের ৬৬ কিলোমিটারেই রয়েছে ৫০টি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এর বেশিরভাগ বাঁক রয়েছে শাহ আমানত তৃতীয় সেতু থেকে শুরু করে পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি পর্যন্ত। সড়কের বিভিন্ন অংশে থাকা বাঁকগুলো এতই বাঁকানো যে, একদিক থেকে গাড়ি এলে অন্যদিকে দেখা যায় না। প্রাণের ঝুঁকি গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেন চালকেরা, আর আতঙ্কে থাকেন যাত্রীরা।

একজন চালক বলেন,এখানে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়, সিএনজি, টমটম খুব ডিস্টার্ব করে, যাত্রী নিতে হঠাৎ ব্রেক করে ফেলে। বাই অটোরিক্সা সিএনজি ওগুলাতে দুর্ঘটনা হয় বেশি” বলেন আরেক চালক। যদিও মহাসড়কের নিরাপদ সড়ক করার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এজন্য মহাসড়কের জন্য ৬০ ফুট থেকে ১০৪’ফুট পর্যন্ত জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে দুই লেনের মূল সড়কটি নির্মাণ হয়েছে মাত্র ২৪’ফুটের। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের পাশাপাশি সড়কের উপর হাট-বাজার বসা, যানবাহন পার্কিং করায় দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনিসুল ইসলাম বলেন, আঁকাবাঁকা রাস্তা সেইসাথে সিএনজি অটোরিক্সার অবাধ চলাচলের জন্য সমস্যা বেশি হয়। যেসব যানবাহন নিয়ম মানছেনা তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিচ্ছি, মামলা দিচ্ছি। সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে