ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নতুন রঙে আর আঁকিবুকিতে চলছে বর্ষ বরণের আমেজ। প্রতিবারের মতো এবারও তা পালনের জন্য প্রস্তুতি কাজের উদ্বোধন করেছে জাতীয় বৈশাখ উৎযাপন পরিষদ। চলছে বর্ষবরণের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কিছুটা ব্যাহত হলেও বাড়তি শ্রমে কাজ শেষ করার চেষ্টায় চারুকলার শিক্ষার্থীরা। রমনার বটমূলে পরিবেশনার জন্য প্রস্তুত ছায়ানট।
পয়লা বৈশাখের ভোরের আলো ফুটতেই রমনার বটমূলে শুরু হবে ছায়ানটের সবচেয়ে বড় উৎসব পয়লা বৈশাখ। বৈশাখকে স্বাগত জানাতে বাঙ্গালির আয়োজনের শেষ নেই। বৈশাখ বরণ উৎসবের অন্যতম প্রধান আয়োজন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা।
চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢাক-ঢোল, বাদ্যযন্ত্র ও বাঁশি বাজিয়ে, বিভিন্ন ধরনের মুখোশ পরে বৈশাখী সাজে সকল ধর্মের, সব বয়স ও শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে। এই শোভাযাত্রা এখন ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ এর অংশ।
আয়োজন। মুর্তজা কবীর মুরাদের আহির ভৈরবের বাঁশির সুরে শুরু হবে পরিবেশনা। এ আয়োজনে ২৮টি সম্মেলক ও একক গান গাইবেন দেড়শোরও বেশি শিল্পী। প্রস্তুতিরও কমতি রাখেনি ছায়ানট।
কোটা সংস্কার আন্দোলেনে ব্যাহত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। নির্ধারিত সময়ে তাই কাজ শেষ করতে ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার বিকেলে বর্ষবরণের প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রত্যয় তাদের কণ্ঠে। পয়লা বৈশাখে ভোর সোয়া ছটায় শুরু হবে রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন। চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বেরুবে সকাল সাড়ে নয়টায়।
বিনোদন ডেস্ক। বিডি টাইম্স নিউজ