মোংলা বন্দরের নৌপথে নাব্য ঠিক রাখতে ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছে একটি মহল। এই ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে ইনারবারের (হারবাড়িয়া থেকে জেটি) নৌপথ হুমকির মুখে পড়বে। একই সঙ্গে বিদেশি জাহাজ এই চ্যানেল দিয়ে আর ঢুকতে পারবেনা। বাধাগ্রস্ত হবে বন্দরের রাজস্ব আয়ও। তাই যারা এই ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে তাদের ষড়যন্ত্রমূলক এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

মোংলা বন্দর বার্থ এন্ড শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, মোংলা বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অন্যতম চাবিকাঠি। ইনারবার ড্রেজিং কার্যক্রম যদি কেউ ব্যাহত করে কিংবা করতে চায় তা বন্দরের জন্য ভীষণ ক্ষতির কারণ হবে। এতে আমদানী-রপ্তানী ও অর্থনীর উপর প্রভাব পড়বে।তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু করা হয়েছে মোংলা বন্দরের গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য। যার সুবিধা আমরা বর্তমানে ভোগ করছি। কিন্তু ড্রেজিং বাঁধাগ্রস্ত হলে সেটি হবে আমাদের জন্য একটি খারাপ সংবাদ। একটি দুষ্টু চক্র এটি করছে, কিন্তু কোনভাবেই চলমান উন্নয়ন ব্যাহত করতে দেয়া যাবে না। কেউ বন্দরকে ক্ষতি করতে চাইলে আমরা সেটি মেনে নিব না, আমাদের ব্যবসা ও দেশের স্বার্থে আমরা বন্দরের সাথে এক হয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো। ওই কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেরন তিনি।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী এস এম মোস্তাক মিঠু, এইচ এম দুলাল ও মশউর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, একটি কুচক্রী মহল বন্দরের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থমকে দিতে ইনারবার ড্রেজিং পকল্প বাঁধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এ ড্রেজিং প্রকল্প বাঁধাগ্রস্ত হলে মোংলা বন্দরে আবারো অচলাবস্থ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা করছেন তারা। এই বন্দর ব্যবহারকারীরা আরও বলেন, একটি বন্দরের প্রধান চালিকা শক্তি হলো তার চ্যানেল/নৌপথ। সেই চ্যানেলটি যদি সুরক্ষিত না থাকে তাহলে বন্দরের পণ্যবাহী বড় বড় বিদেশি জাহাজের আগমন মারাত্মকভাবে বাঁধাগ্রস্থ হবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বন্দরের আমদানী-রফতানীসহ জাতীয় অর্থনীতি ও আন্তজার্তিক অঙ্গনেও পড়বে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে