‘বল বীর বল উন্নত মম শির’ বাঙালি জাতির জাগরণের স্মারক ‘বিদ্রোহী’ কবিতা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবিতাটি লিখেছিলেন ১৯২১ সালে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। কবির বয়স তখন বাইশ। কলকাতার ৩/৪-সি তালতলা লেনের বাড়িতে রাত জেগে এই কবিতাটি লিখেছিলেন তিনি। ধ্রপদি এই কবিতাটি রচনার শতবর্ষ পূর্ণ হলো ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই। আর জাতীয় কবির বিদ্রোহী কবিতাটি শতবর্ষের লগ্নে শতকণ্ঠে উচ্চারিত হলো বাংলা একাডেমির বটতলায় নজরুল মঞ্চে। শীতের সকালে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন জাতীয় কবির দৌহিত্র খিলখিল কাজী।
শতবর্ষে শতকণ্ঠে বিদ্রোহী কবিতাটি পাঠে অংশ নিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একশত শিক্ষার্থী। যারা একেবারেই তরুণ, বিদ্রোহের তাড়নায় উজ্জ্বীবিত, যাদের সকলের বয়সই বাইশের কোটায়। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম যে বয়সে এই কবিতাটি লিখেছিলেন সে সময়কাল মাথায় নিয়েই পরিকল্পনা করেন এক ঝাঁক উদীয়মান সাংস্কৃতিক কর্মী। যারা বিভিন্ন পেশায় থাকলেও দেশ প্রেমের প্রেরণায় গড়ে তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ’।
স্বপ্নের বাংলাদেশের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে বাংলা একডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র, এথিক থিয়েটার এবং প্রিজম। শতকণ্ঠে বিদ্রোহী কবিতা পাঠে অংশ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্বনি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি সাহিত্য ফোরাম, ব্রাক ইউিিনভার্সিটি কালচারাল ক্লাব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাব, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক সাহিত্য সংসদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য ফোরাম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফশেনালস, সহজপাঠ উচ্চ বিদ্যালয়, কিষাণ থিয়েটার, কণ্ঠশীলন, অভিযাত্রিক স্কুল এবং শিল্পবাংলা।
নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইম্স নিউজ