১৪টি দেশের পুলিশ প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘চিফ অব পুলিশ কনফারেন্স’ রোববার প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে ঢাকায়। জঙ্গিবাদ নির্মূলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়-সহযোগিতা বাড়ানোর এ উদ্যোগকে যুগপোযোগী পদক্ষেপ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সমন্বিত কৌশল তৈরি করে নানা দেশে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও মত তাদের।
কনফারেন্সে ১৪ দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও ইন্টারপোল, ফেসবুক, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তিনি বলেন, কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রধান ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমন, মানবপাচার, অর্থনৈতিক অপরাধ, সন্ত্রাসী অর্থায়ন, মাদকদ্রব্য পাচার রোধ, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলন শেষে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ প্রতিরোধের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষর করা হবে বলেও জানান তিনি। জঙ্গিবাদকে বিশ্বের সব দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ পুলিশ। এর মোকাবিলায় অংশ নেয়া দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।এ কে এম শহিদুল হক, পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, আর এ উদ্যোগকে যথার্থ ও সময়োপযোগী বলছেন সাবেক পুলিশ প্রধানেরাও। বলছেন এর মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্ক। তথ্যের আদান-প্রদানে নাগালের বাইরে থাকা জঙ্গি নেতাদের খোঁজ মিলতে পারে সম্ভব জঙ্গি অর্থয়ানে জড়িতদের সন্ধানও পাওয়া।
তিনি জানান, রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘চিফ অব পুলিশ কনফারেন্স অব সাউথ এশিয়া অ্যান্ড নেইবারিং কান্ট্রিস অন রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন কার্ভিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ শীর্ষক এ কনফারেন্স ১২ মার্চ শুরু হয়ে চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত।আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মত, এ উদ্যোগকে সফল করতে হলে, অংশ নেয়া দেশগুলোর কাছে তুলে ধরতে হবে নিজেদের অবস্থান।ইসফাক ইলাহী চৌধুরী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন,পাশাপাশি এ সম্মেলনকে এশিয়ায় সীমাবদ্ধ না রেখে, পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ