সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ড বিস্ফোরণের একযুগ পরও সর্বত্র মাটি ফুঁড়ে বের হচ্ছে গ্যাস। ফলে দূষিত হচ্ছে পানি-বাতাস-জমি। শ্বাসকষ্ট-চর্মরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন ছয় গ্রামের মানুষ।
২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টা। টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে প্রথম বিস্ফোরণ। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। একই বছরের ২৪ জুন রাত ২টা। আবারও বিস্ফোরণ। ভয়াবহ কম্পন। দুই বারেই পুড়ে যায় অনেক গ্যাস। এ ফিল্ডে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্বে ছিলো কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকো। ঘটনার পর টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি গ্যাসের উদগীরণ। টিউবয়েলের পাইপ আর মাটি ফুঁড়ে বের হচ্ছে গ্যাস। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ অবস্থার কারণে মারাত্মক দূষিত হয় পরিবেশ। মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছে রোগব্যাধিতে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হতে পারে। এবং ঐ এলাকার যারা বাচ্চা বা বয়স্ক যারা ওদের চর্মরোগ হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এক ব্যাক্তি জানান প্রকতিতে সমস্যা আমাদের গাছ পালা প্লাস আমাদের শ্বাস কষ্টে সমস্যা হচ্ছে।
আরও একজন জানান খাজ্জানি-খুজ্জানি সব হয়ে গেসে বাচ্চা কাচ্চার। এমনে বাচ্চা কাচ্চারা মাথা পাক দিয়ে পরে যায়। পানির অভাবে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়। গোটা গাটি হয়। আমরার চেহারার ক্ষতি হয়। চিকিৎসকরা বলছেন প্রাকৃতিক গ্যাস বাতাসে মিশে মানুষের প্রাণহানিও ঘটাতে পারে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার জানান গ্যাসের কন্সেনটেশন বেশি হলে অক্সিজেনের মাত্রা যদি কমে যায় তাহলে মারাও যাইতে পারে। বাতাসে ছড়িয়ে থাকা গ্যাস থেকে যেকোন সময় আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় থাকেন টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ড এলাকার মানুষ।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ