দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আজ যে মিষ্টি বাংলা ভাষা তা আমাদের গর্ব। এই ভূখণ্ডের ফলা থেকে উঠে আসা এক একটি বর্ণ আমাদের অহংকার। দেড় হাজার বছর ধরে এই ভূখণ্ডের মানুষের বাক সংকেত এখন বাংলা ভাষা। হাজার বছরের ঐতিহ্য নিয়ে বাংলা আজ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। সে বর্ণ এখন আর নেই, যা প্রথমে ছিল। নানা সময় পণ্ডিতরা তা পরিবর্তন করেছেন।

এক কোটি, দুই কোটি, আড়াই কোটি মানুষের মুখ থেকে যে ভাষা এখন ৩০ কোটির কণ্ঠে যে ভাষা এখন মাতৃভাষা হিসেবে পৃথিবীর কণ্ঠে তা নিয়ে ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই বর্ণ কি পরিবর্তন হতে চলেছে? যে বর্ণ এখন আমরা লিখছি তা এক সময় ছিল না। এর চেহারা পরিবর্তন হয়েছে কয়েকবার। আরও কয়েক শত বছর পর কি এই চেহারাও পরিবর্তন হবে- পরিবর্তন হবে কি এর বাক্যগঠন প্রক্রিয়া?  আমরা কি পরিবর্তন হতে দেব না বর্তমান অবস্থায় রেখে দেব না কি চেষ্টা করেও এর পরিবর্তন ঠেকাতে পারবো না পরিবর্তন কি জরুরি এসব নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে। প্রযুক্তির যুগে ভাষাকে রক্ষণশীল হয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। এখন বাংলা যে মিষ্ট পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে তাতে আর পরিবর্তন প্রয়োজন নেই। এমনই বলছেন অনেকে।

সেই সূত্র ধরে বলতে হয় বাংলা ভাষা একটি দুর্যোগের মধ্যদিয়ে এগুচ্ছে। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে যুক্ত বা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের মধ্যে। তারা ইচ্ছেমতো একটি জগাখিচুড়ি বাংলা বলছে। প্রমিত বাংলায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অনেক খুঁজে তাদের বের করতে হয়। তবে এটা শহরাঞ্চলের কথা। শহরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করা মানুষের কথা। গ্রামাঞ্চলে বা শহরতলীতে এখনো আঞ্চলিক বা উপভাষা বা প্রমিত বা আঞ্চলিক মিলিয়ে কথা বলে। আর যাদের সাথে কোন বর্ণের পরিচয় হয়নি তারা সাধারণত তাদের বেড়ে ওঠা পরিবেশের শব্দ ব্যবহার করেই বাংলা বলছে। যেটাকে সত্যিকারের উপভাষা বলতে পারি। বিকৃতি যা করার তা বেশি করছে বর্ণ-ব্যাকরণ বা বইয়ের সাথে যাদের যোগ আছে। যারা বই খাতা কলম নাড়াচড়া করছে। এরা যে একটি বিশেষ আঞ্চলিক বা উপভাষায় কথা বলছে বা লিখছে তা নয়। একটি মিশ্র, অর্মাজিত ভাষা ব্যবহার করছে। শুধু বলায় নয় লেখায়ও।

ভাষা কৃত্রিম। সেই কৃত্রিমতায় একটা পরিকল্পনা থাকে। প্রমিত ভাষার পরিকল্পনা থাকে। বানান, ধ্বনি কেমন হবে তার পরিকল্পনা করতে হয়। প্রশাসন চালাতে, শিক্ষার কাজ করতে, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রচারমাধ্যম (সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও) এবং রাজনৈতিক ভাষা কি হবে তা ঠিক করতে হয়। দলিলের ভাষা কি হবে, আদালতের ভাষা কি হবে, পত্রিকার ভাষা কি হবে এসব প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঠিক করা উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না। বাংলাকে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে এর মান উন্নয়ন ও উৎকর্ষের জন্য তেমন কোন গবেষণা নেই। পরিভাষা বা শব্দ আত্তিকরণের বিষয়ে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষের সাথে বাংলা একাডেমির সমন্বয় নেই বললেই চলে।

সকল মাধ্যমে বানান হতে হবে এক। এটা বাস্তবায়ন করবে সরকার। নীতি না থাকায় এটা করা যাচ্ছে না। সংবিধানে আছে রাষ্ট্রীয় ভাষা হবে বাংলা। সুতরাং রাষ্ট্রই বিষয়টি তদারকি করবে। এটাই হওয়া উচিত। ‘বাংলা’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হলেও বাংলাদেশেই উচ্চ শিক্ষায় বাধ্যতামুলক পড়তে হয় ‘ইংরেজি’। বাংলা নয়। ১০০ নম্বরের ইংরেজি বাধ্যতামূলক। আর বাংলা ঐচ্ছিক।হতাশা হচ্ছে, যাদের পরিভাষা করার দায়িত্ব। তারা ইচ্ছেমত বিদেশি শব্দ যোগ করছে বাংলায়। তবে আশার কথাও আছে। আমাদের সংস্কৃতির প্রতি আনুগত্য বাড়ছে। সংস্কৃতির প্রতি আনুগত্য থাকলে ভাষার প্রতি আনুগত্য আসবে। বিশেষজ্ঞরা তাই ভাবছেন।

দৈনন্দিন  জীবনে শেখার মাধ্যমগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই। স্কুল কলেজে এক রকম শিখতে হচ্ছে। পত্রিকায় পড়তে হচ্ছে আর এক রকম। আবার এক এক পত্রিকার বানান এক এক রকম। পাঠ্যপুস্তকের সাথে পত্রিকার মিল নেই। আবার পাঠ্যপুস্তক আর পত্রিকার সাথে অভিধানের মিল নেই। অভিধানে যে বানান তা পাঠ্যপুস্তক বা পত্রিকায় নেই। রেডিও টেলিভিশনে শুনতে হচ্ছে আবার ভিন্ন। বিশেষ করে এফএম রেডিওগুলোতে প্রচারিত কিছু অনুষ্ঠানে বাংলা উচ্চারণকে বিকৃত করা হচ্ছে। এমন নতুন নতুন শব্দ ব্যবহার হচ্ছে যা খুবই আপত্তি কর। সেখানে যে কথা বা উচ্চারণ করছে, তাÑযে কোন ভাষা তা সরলে বলা মুশকিল। মানুষের দৈনন্দিন কথা বার্তায়, দৈনিক পত্রিকায়, টেলিভিশনে, রেডিওতে এমন কি বিভিন্ন সাহিত্যে, পাঠ্যবইয়ে ইচ্ছেমতো শব্দ, বাক্য ব্যবহার বেড়েছে।

পুরো নৈরাজ্যের মধ্যে বেড়ে উঠতে হচ্ছে একটি প্রজন্মকে। সব মিলিয়ে বাংলাভাষা ব্যবহারে চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। কোন নিয়ম নেই, নীতি নেই। জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরিভাষা তৈরির উদ্যোগ নেই। পরিভাষা তৈরির কাজ যা হচ্ছে তা সমন্বয়হীন। বিদেশি শব্দের সরাসরি আত্তিকরণ ও ব্যবহার বাড়ছে। শব্দের বানান বা উচ্চারণ যে যার ইচ্ছে মতো করার ফলে, সরল বাংলা শব্দকে বিকৃত করে উচ্চারণ করার ফলে, বাংলা ভাষা হারাচ্ছে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। পরিবর্তন হচ্ছে এর গতি। এবিষয়ে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। নেই দিক নির্দেশনাও।

বিষয়টিকে বিশেষজ্ঞরা ইতিবাচক ভাবে দেখছেন না। সরকারিভাবে প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে ভুল আর জগাখিচুড়ি তথ্যতো আছেই। সাথে ইচ্ছেমতো বাক্য-বানান লিখছে, বলছে প্রচার মাধ্যম। ভাষা বিজ্ঞানিরা মনে করছেন, বর্তমানে বাংলাভাষা নিয়ে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নতুন প্রজন্ম ভাল কিছু শিখছে না। ভাষার প্রতি মায়াটা জন্মাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এক বিশৃংখল পরিস্থিতি। এতে শিশুরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। সন্ধি, সমাস, ব্যাকরণ নানা রকম তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘদিন যে ভাষা ব্যবহার করা হয় তা পরিবর্তন করলে আবেগে আঘাত আসে। তাই এই পচা শব্দগুলো ব্যবহার চলতে থাকলে তা আর বাদ দেয়া যাবে না। প্রচলিত ভাষার মধ্যে এগুলো চলে আসবে।

ভাষা নিয়ে কাজ করা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মসূচি হাস্যকর। বাংলা একাডেমির ভাষা গবেষণার কোন আলাদা বিভাগ নেই। বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ ইংরেজি আইন অনুবাদ করে। আধুনিক ভাষা ইনন্সিটিটিউট বিদেশিদের বাংলা পড়ায়। আর আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সবে বছর ক’য় হল যাত্রা শুরু করেছে। জাদুঘর পরিচালনা করা তাদের মূল কাজ।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এখন পাঠ্যপুস্তকসহ সকলকে বাংলা একাডেমীর বানান মেনে চলার কথা। কিন্তু অনেকে সেটা করে না। কারণ এর বাধ্যবাধকতা নেই। পৃথিবীর অনেক দেশে ভাষায় শৃঙ্খলার জন্য এমন বাধ্যবাধকতা আছে।

এসবের মধ্যে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যেন বাংলা ভাষাকে লড়াই করেই চলতে হচ্ছে। লড়াই করতে হচ্ছে তথাকথিত সুশীল লোকদের সাথে। লড়াই করতে হচ্ছে ইংরেজি আর হিন্দির সাথে। লড়াই করতে হচ্ছে প্রযুক্তির সাথে। আর লড়াই করতে হচ্ছে অতি উৎসাহি নিজেকে আধুনিক প্রমান করতে চাওয়া কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া কিছু ছেলে মেয়ের সাথে। তারা মনে করছে বাংলার মধ্যে দুএকটা ইংরেজি শব্দ মিশিয়ে কিম্বা বাংলাকে ইংরেজি ঢংয়ে উচ্চারণ করলে সবায় ভাববে জানাশোনা শিক্ষিত মানুষ। কিন্তু আসলেই কি তা সত্য? হীনমন্য অবস্থা থেকে, নিজেকে উচ্চস্থানে আসীনের জন্য নিজের অজান্তে পচা করে কথা বলছে।

অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষার অভাব, রাজনৈতিক প্রভাব, ধর্মীয় রাজনৈতিক প্রভাব, তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব, বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা, সহজে জীবনযাপন বা সহজে পাওয়ার প্রবণতা ভাষাকে বিকৃত করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান ভাষার এই বিভিন্ন ব্যবহারকে বিশৃঙ্খল বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, নানান জন নানান উচ্চারণ করছে, বানান লিখছে এটা বিশৃঙ্খলাতো বটেই। যারা প্রমিত না করে অন্যভাবে প্রচার করছে তারা মনে করছে এটাই তরুণদের ভাষা। আবার তরুণরা এটা শুনে মনে করছে এটা তাদের ভাষা। এটা এক ধরনের বৃত্তাকার। এতে ভাষার বিশৃঙ্খলা ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। তিনি বলেন, সব পোশাক পরে যেমন সবার সামনে যাওয়া যায় না। তেমনি বাড়িতে আঞ্চলিক কথা বলতে পারি কিন্তু সবার মধ্যে প্রমিত ভাষায় কথা বলা উচিত।

হাজার বছরে বাংলাভাষা নানা রূপ বদল করেছে। গত এক হাজার বছরে বাংলা বর্ণমালা প্রায় আট বার আকার বদল করে বর্তমান রূপ নিয়েছে। ১৭৭৮ সালে বর্তমান বর্ণের রূপ শুরু হয়। এরআগে প্রায় প্রতি একশ বছরে একবার বাংলা বর্ণের চেহারা পরির্তন হয়েছে। বর্ণের সাথে সাথে ভাষায় এসেছে পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের সময় হয়েছে বিশৃংখলা। বিভিন্ন সময় বিশৃংখল পরিস্থিতি থেকে পণ্ডিতরা তা শুধরেছেন। নানা চড়াই উৎরাই পার করে- যে ভাষা নিচু শ্রেণির বলে অবজ্ঞা করা হতো তা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা।

এক সময় বাংলায় আরবি, ফারসি শব্দ ব্যবহারের হিড়িক ছিল। এখন সে স্থান নিয়েছে ইংরেজি, হিন্দি। হাঁটতে চলতে বসতে বলতে লিখতে ইংরেজি শব্দের ছড়াছড়ি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শাসন পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাষায় একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শাসন কর্তাদের একটা প্রভাব পড়েছে। আবার পরে তা ঠিক হয়েছে। বৌদ্ধ সময়ে বৌদ্ধ শাসক, হিন্দু সময়ে সেন রাজা, মুসলিম আমলে মুসলিম শাসক এবং ব্রিটিশ আমলে ইংরেজদের প্রভাব বাংলাভাষায় স্পষ্ট। কিন্তু এখন আমাদের স্বাধীন দেশে ভাষা ব্যবহারে নৈরাজ্য চলছে। কেন? অন্য ভাষা শেখা বা জানায় কোন আপত্তি নেই। আপত্তি অন্য ভাষায় বাঁচতে চাওয়া। বাংলা এখন আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা। ইউনেসকো পৃথিবীর সব থেকে মিষ্টি ভাষা হিসেবে বাংলাকে ঘোষণা দিয়েছে। যার কারণে এই ভাষা সুন্দর করার জন্য বাংলাদেশের দায়িত্ব বেশি।

নিয়ম কানুন মেনে না চললে ভাষা যেহেতু সংকেত, সেই সংকেতের তাৎপর্য নষ্ট হয়। আমাদের ভাষা সচেতনতার মাত্রা যথেষ্ট নয়। ভাষার প্রতি ভালবাসা আছে কিন্তু সচেতনতা নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবে যে ভাষার প্রতি সচেতনতা তা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে দেখা যায় না। সংকেত পরিবর্তন হলে সমস্যা হয়। বানানের কোন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ না করে, গবেষণা, জরিপ ছাড়াই বানান পরিবর্তন করা হয়েছে। শব্দের সময়, অর্থ, শ্রম বিচার করা হচ্ছে না। গবেষণা ছাড়াই ইচ্ছে মতো এর ব্যবহার করা হচ্ছে।

কিছু কিছু ভাল কাজ হচ্ছে। অনেকেই চেষ্টা করছেন নিজের মত করে শব্দ বানানোর। কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘ফেসবুক’ এর বাংলা লিখেছেন ‘মুখপঞ্জি’। ‘মোবাইল ফোন’-কে লেখার চেষ্টা চলছে ‘মুঠোফোন’। ফ্লাইওভারকে বলা হচ্ছে ‘উড়ালসেতু’। এই তিনের সাথে আমরা নতুন পরিচিত হয়েছি। সাথে এর নতুন নামও দেয়ার চেষ্টা করছি। তবে এই উদ্যোগগুলো এখন খুব কম চোখে পড়ে। একসময় এই চেষ্টা বেশি হয়েছে। নতুন যন্ত্র বা প্রযুক্তি আসলে তা বাংলায় নিজেদের মত করে উচ্চারণের, নিজেদের মত করে বলবার চেষ্টা হয়েছে। দূরদর্শন বা বেতার বলার চেষ্টা করা হয়েছে। সে চেষ্টা এখন কোথায়?

আবার ভুল চেষ্টাও আছে। যেমন ‘গ্লোবালাইজেশন’ এর বাংলা করা হচ্ছে ‘বিশ্বায়ন’। ‘বিশ্ব’ মানে তো ‘সৌরজগত’ বোঝায়। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। কিন্তু ‘গ্লোব’ মানে তো ‘পৃথিবী’। ইংরেজি এই শব্দটা তো বিশ্ব নিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে না। শুধু পৃথিবীকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে। অথচ আমরা বিশ্ব বলছি।গত একশ বছরে আমাদের ব্যাকরণ গ্রন্থ করা হয়নি। যা এখন আছে তা সংস্কৃত ও ইংরেজির আদলে। অবশ্য বাংলা প্রমিত ব্যাকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ (বাংলা একাডেমী, ঢাকা), পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার ভাষা বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে এই ব্যাকরণ করেছেন। সেটা নিয়েও কিছু বির্তক আছে।

লেখক ঃ রফিকুল বাসার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে