বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ৬০ ডেসিবেল শব্দ একজন মানুষকে সাময়িক বধির করে দিতে পারে। আর ১০০ ডেসিবেল শব্দ চিরতরে বধিরতার কারণ হতে পারে। বাস বা ট্রাকের হাইড্রোলিক হর্ন ১০০ ডেসিবলের বেশি মাত্রার শব্দ তৈরি করে। ফলে খুব কাছে থেকে হাইড্রোলিক হর্ন বাজলে আশপাশে মানুষের বধির হয়ে যাওয়ার জোরালো আশঙ্কা থাকে। আর বাংলাদেশে এই আশঙ্কাজনক কাজটি করার আইনগত শাস্তি হচ্ছে মাত্র ১০০ টাকা জরিমানা। অন্যভাবে বললে, হর্ন বাজিয়ে কাউকে আজীবনের জন্য বধির করার পর গাড়ি চালক ১০০ টাকা দান করে পার পেয়ে যাবেন!
ঢাকা শহরে গাড়ি চালকরা যেখানে ইচ্ছা সেখানে, যখন ইচ্ছা তখন হাইড্রোলিক হর্ন বাজিয়ে দেখেন। তাদেরকে কেউ দমাতে পারে না। অন্যান্য এলাকার মতো সাভার মহাসড়কের আশপাশের বাসিন্দা ও পথচারীরা জানালেন তারা হাইড্রোলিক হর্নে অতিষ্ঠ। উচ্চমাত্রার শব্দ দূষণে বধিরতা, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। পুলিশের অভিযানও থামছে না যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার। এমনিতেই মহাসড়কের দু’পাশে মাইক আর নানা শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এরওপর যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্নের বিকট শব্দ বাড়িয়েছে ভোগান্তি। আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল, নবীনগর-চন্দ্রা ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে হাজারো যানবাহন। মোটরযান আইন অনুযায়ী হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ আইন অমান্য করে এই হর্নটিই ব্যবহার করছে বেশিরভাগ যানবাহন মালিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শব্দ দুষণের কারণে উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, পেপটিক আলসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। হাইড্রোলিক হর্ন ১০০ ডেসিবেলেরও বেশি মাত্রার শব্দ তৈরি করে, যা সহনীয় মাত্রার বহু উপরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ একটি গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ৩০টি রোগের কারণ ১২ ধরণের পরিবেশ দূষণ, যার মধ্যে অন্যতম শব্দদূষণ।
মহাসড়কগুলতো হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে মাঝে-মধ্যে অভিযান চললেও ঠেকানো যাচ্ছে না এর ব্যবহার। এজন্য মাত্র ১০০ টাকা জরিমানার বিধানটিকে দুষছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা। মহাসড়কে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরুল ইসলাম এমনটাই জানালেন ।
অনলাইন ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ ।