একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের স্থগিত হওয়া তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ আগামী ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন ওই তিন কেন্দ্রের মৃত ও প্রবাসী ভোটারদের ভোট আগের রাতেই কাস্ট করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার।
শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাত্তার। এ আসনের ১৩২ কেন্দ্রের মধ্যে ১২৯ কেন্দ্রের ফলাফলে সাত্তার ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট আর মঈন উদ্দিন ‘কলার ছড়ি’ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট।
সংবাদ সম্মেলনে সাত্তার বলেন, স্থগিত তিন কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা থেকে মৃত ও প্রবাসে থাকা ভোটারদের বাদ দিলে আমার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে আমি ভোটে বেশি থাকি। যেটি নির্বাচন কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিলে ওই তিন কেন্দ্রে পুনঃভোটের প্রয়োজন হবে না। তিন কেন্দ্রের মোট ভোটারদের মধ্যে মৃত ও প্রবাসে থাকা ভোটার সংখ্যা ৫৬৩ জন।
তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে যে, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী বাইন হীরার মাধ্যমে যোগসাজস করে মৃত ও প্রবাসী ভোটারসহ সকল ভোট আগের রাতেই কাস্ট দেখিয়ে আমাকে পরাজিত করার ষড়যন্ত্র করছে। তবে ভোট দেয়ার নূন্যতম সুযোগ পেলে সর্বোচ্চ ভোট আমার পক্ষেই পড়বে। অতীতের নির্বাচনগুলোতে ওই তিন কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন সাত্তার।
তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কতিপয় দুস্কৃতিকারী লোকজন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বলছে যে, ৯ তারিখের পুনঃনির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যেন আমার দলীয় এজেন্ট কিংবা আমাকে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে নতুবা জানমালের ক্ষতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে। যার জন্য আমিসহ আমার দলীয় লোকজন চরম উৎকণ্ঠায় আছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের তিনটি কেন্দ্রে স্থানীয় ভাবে প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল ঘোষনা করলেও রাতে অনিয়ম ও গোলযোগের কারণ দেখিয়ে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষনা করা হয়।
স্থগিত হওয়া ওই তিন কেন্দ্র হলো- যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোহাগপুর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ তিন কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪। আর উকিল আব্দুস সাত্তার ১০ হাজার ১৫৯ ভোটে এগিয়ে আছেন। তিনটি কেন্দ্রই আশুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর গ্রামে।তিনি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সেলিম পারভেজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইম্স নিউজ