ইয়াছির আরাফাত খোকন,প্যারিস,ফ্রান্স।। স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির আত্মপ্রকাশ ও পৃথিবীর মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আলোকোজ্জ্বল দিন ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবসের ৫৩তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে ফ্রান্সের প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। এই উপলক্ষে প্যারিস ১৬ এর অভিজাত টাউন হলে আয়োজিত হয় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সবার কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত ও কুরআন তেলোয়াতের ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মার শান্তি কামনা, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি, সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ , সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ সহ মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দূতাবাস ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তিনি বলেন, ১৯৭১ এর বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনে শ্রেস্ঠ অর্জন। আমরা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ের এই দিনে ই পাসপোর্ট এবং ওয়েজ কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ আপনাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ মিশন ফ্রান্স প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার বিষয়ে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে মহামান্য রাস্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন এর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিশনে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ডিফেন্স এটাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান কাজী এহসানুল হক,কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ফ্রান্স শাখার সভাপতি সৈয়দ সাইফুর রহমান ও বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের প্রতিনিধি মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমূখ।
এছাড়াও ফ্রান্সে বসবাসরত বিভিন্ন পর্যায়ের বাংলাদেশী নাগরিকদের অংশ গ্রহনে বিজয় দিবসের অনুষ্টান পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব ওয়ালিদ বিন কাশেম।ফ্রান্সে বসবাসরত কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা বলেন, যে স্বপ্ন আর আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে ও কাঙ্খিত আকাঙ্ক্ষা অর্জন হয়নি। জনগণের বাক স্বাধীনতা অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতান্ত্রিক চর্চা সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে এখনো বৈষম্য বিদ্যমান। এ থেকে কে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বের হতে না পারলে অর্জিত স্বাধীনতার রক্ষা করা কঠিন হবে।