গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংশ্লিষ্টতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। শুনানি শেষে তিনি বলেন, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস। তার বিরুদ্ধে আনা তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি আইজিপির কাছে জানতে চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আওয়ামী লীগের বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য ব্যক্তিকে গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠলেও তৎকালীন সরকার বারবার অস্বীকার করেছে। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পতন হলে বেশ কয়েকজন আয়নাঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে অন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাশেম আরমান, দলটির সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী ও ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও গুমের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখতে ২৭ আগস্ট সরকার এক প্রজ্ঞাপনে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে।