ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর পদে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার পদে অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম যোগদান করেছেন।
ভিসি অফিস-কক্ষে সোমবার রাত আটটার দিকে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র উপস্থিতিতে তাঁরা যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, আমি মনে করি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি দুটি শক্তিশালী হাত পেয়েছি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে মানসিকভাবে তাঁরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি বিশ্বাস করি, তাঁরা আগস্ট বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
যোগদানপত্রে স্বাক্ষরের পর প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য করণীয় সবকিছু করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তাঁরা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (২ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮০ এর ১১ (ক) (১) ধারা অনুসারে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলীকে প্রো-ভিসি পদে এবং ১৯৮০ (সংশোধিত আইন, ২০১০) এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে ট্রেজারার পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
নবনিযুক্ত প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এর সংক্ষিপ্ত জীবনী:
প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ১৯৯৫ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৭ সালে প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি এমফিল ও পিএইচ.ডি কো-অর্ডিনেটর সহ বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করেন। প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর এবং বিভাগের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জার্নালে তাঁর আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং ইউট্যাব-এর সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পূর্বে তিনি পরিবহন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
নবনিযুক্ত ট্রেজারার এর সংক্ষিপ্ত জীবনী:
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৯৫ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সরকারি অধ্যাপক, ২০০৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯ সালে প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ডেভেলপমেন্ট এন্ড এডমিনিস্ট্রেটিভ এডভাইজার প্রধান ও এমবিএ কো-অর্ডিনেটর এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জার্নালে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ লাভের পূর্বে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
কুষ্টিয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ