সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির সভা এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফেরার পথে কিছু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সমর্থিত দৃস্কৃতিকারী তার গতিরোধ করে এবং কটাক্ষ করে আপত্তিকর বক্তব্য ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে নতুন বাংলাদেশের। সহস্র শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বৈষম্যহীন ও বঞ্চনামুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনআকাঙ্খা পূরণে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কারমূলক কার্যক্রমসহ বেশ কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণপূর্বক কাজ করে যাচ্ছে যা সকল মহলের প্রত্যাশাও বটে।
আরও বলা হয়, গত নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপত ড. আসিফ নজরুলের প্রতি যে অসৗজন্যমূলক আচরণ করেছেন সে বিষয়টি বিশ্বস্তসূত্রে ও বিভিন্ন মিডিয়া মারফত জানতে পেরে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছে এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
বিদেশের মাটিতে একজন সরকারের উপদেষ্টা তথা রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একজন নেতৃত্বদানকারী প্রতিনিধির সঙ্গে এহেন আচরণ উদ্দেশ্যমূলক। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসে যারা এরূপ কাজে লিপ্ত হয়েছিল তারা মূলত: রাষ্ট্রের মর্যাদাহানিসহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি চরম অবমাননাকর কাজের মাধ্যমে অপরাধ করেছে। তাদের এরূপ অপরাধ, অন্যায়, অপকর্মের জন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে।
তথ্যঃ যুগান্তর