স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) পুরাতন ঢাকার যানজট নিরসনে কারা অধিদপ্তরের “পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এর ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পার্কিংয়ের স্থান বৃদ্ধির বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর পুরাতন ঢাকায় অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, কারা অধিদপ্তরের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য যে বাজেট দেয়া হয়েছে তার মধ্যেই সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এতে বাজেট বৃদ্ধি করা যাবে না। তিনি বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে আমাদের বিদ্যমান চর্চা হলো, যেকোনো প্রকল্পে প্রথমে একটা বাজেট নির্ধারণ করা হয়, পরে যৌক্তিক-অযৌক্তিক নানা কারণ দেখিয়ে বাজেট বৃদ্ধি করে প্রকল্প সংশোধন করা হয়। আমাদের এ চর্চা থেকে বেরিয়ে এসে নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
রাজধানীতে যানজট বাড়ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে যারা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন ও সমাবেশ করছেন তারা ভেন্যু হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহার করলে রাস্তা বন্ধ হবে না, যানজট হ্রাস পাবে। যানজটের কারণ সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, রাজধানীতে রাস্তা বাড়ছে না, কিন্তু প্রতিদিন গাড়ি বাড়ছে। তাছাড়া কর্মসংস্থানের কারণে সারাদেশের মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে। ফলে নগরের জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যানজট নিরসনে সরকারের সাম্প্রতিক উদ্যোগ সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর রাজধানীর যানজট নিরসনে ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো কাজ করেছে ও সাফল্য দেখিয়েছে। সেজন্য ট্রাফিক পক্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর পক্ষ থেকে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোঃ মোতাহার হোসেন, প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম তৌহিদুল আলম পিএসসি, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এর ‘এ’ জোনস্থ মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স, ‘বি’ জোনস্থ চক কমপ্লেক্স ও মসজিদ এবং ‘সি’ জোনস্থ কনডেম সেল ও ফাঁসির মঞ্চ পরিদর্শন করেন।