ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও দেশে পিছিয়ে আছে পর্যটন শিল্প। পর্যটন বোর্ড বলছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে এখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হচ্ছে না। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন “পর্যটনের উন্নয়নে সরকারের সুদৃষ্টির পাশাপাশি দরকার প্রশিক্ষিত জনবল”।
বিশ্বের র্দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। সেই সঙ্গে নান্দনিক চা বাগানসহ অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় নিদর্শনের নৈস্বর্গিক লিলাভূমি বাংলাদেশ। এতো কিছুর পরও পিছিয়ে দেশের পর্যটন শিল্প। জিডিপিতে যার অবদান মাত্র দুই দশমিক দুই শতাংশ। গত অর্থবছর পর্যটন খাত থেকে আয় হয় ৮০৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ৩২৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা কম। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে এদেশে শুধু ভ্রমণের উদ্দেশে আসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার পর্যটক। গত কয়কে বছর ধরে এই সংখ্যা আর বাড়ছে না। এর কারণ অবকাঠামোগত ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা। প্রচারের অভাবও অনেকাংশে দায়ী।
জাতীয় পর্যটন নীতিতে এর টেকসই উন্নয়নে ১৭টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। মূলত সমন্বয়ের অভাবকেই এ খাতের পিছিয়ে থাকার জন্য দায়ী করছে, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড। বাজেটে পর্যটন খাতে বরাদ্দ যথেষ্ট নয় দাবি করে আগামীতে এ বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
নোমান রহমান
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ