নিজস্ব সংবাদদাতা।। পর্যটণ শিল্পের বিকাশে দেশিয় পর্যটন স্থানগুলোর সাথে বর্তমানে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিকসভা, প্রনোদোনা প্যাকেজ বা নিজস্ব কর্মীদের কাজের উৎসাহ প্রদানেও ইদানিং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ ভ্রমন নিয়োমিত আয়োজন করছে। আর তাদের এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে দেশীয় ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস কোম্পানিগুলো।
ভিয়েতনাম ভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এনেক্স ওয়াল্ডওয়াইড লিমিটেড, রেজিস্টারড ঠিকানা, মুসাফির টাওয়ার,১ম ও ২য় তলা গুলশান, ঢাকা-১২০৫ এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল নামে ডিজিটাল আর্ট ও এনিমেশন ক্যরেক্টার ওনলাইনে ট্রেড ও বাংলাদেশে ভিয়েতনামি ও মালেয়শিয়ান সমিগ্রীসহ বাংলাদেশি নিত্যব্যবহার্য্য প্রডাক্ট বিক্রির জন্যে ডবঈড়ড়স.পড়স নামে একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম ও পরিচালনা করে আসছিলেন। গত ১২ মে ২০২৪ তাদের সেলস টিমের ১২০ সদস্যদের টিম নিয়ে ব্যাংককে ৩ রাত ৪ দিনের একটি প্যাকেজ ঘোষনা করে, এই প্যাকেজ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্যে ডি ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, উত্তরা, ঢাকা, প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের প্রস্তাবিত প্যাকেজের ভিত্তিতে -ওয়ার্ক ওডার ও পরিচালনা ব্যায়ের ২০% অগ্রিম প্রদান করে এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল। শর্ত অনুযায়ি বিমান টিকিট হস্তান্তর সাপেক্ষে টিকিটের মূল্য বাবদ ৪৬ লক্ষ ৪১ হাজার ৬শত টাকা এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল, ডি ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসকে প্রদান করবে। কিন্তু এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল ২মে ২০২৪ তারিখে মাত্র ১২ লক্ষ টাকা প্রদান করে প্যাকেজের ডেট পরিবর্তন করতে বলেন, এমত অবস্থায় ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস তারিখ পরিবর্তনের জন্যে বিমানের নির্ধারিত ডেট চেঞ্জ ফি দাবি করলে কর্তৃপক্ষ তা দিতে সম্মত হয়।
পরবর্তিতে ১৮ মে ২০২৪ তারিখে এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল তাদের টিম নিয়ে থাইল্যান্ডে উড্ডয়ন করে, কিন্তু শর্ত অনুযায়ি ট্যুরের আগে ৭০% টাকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রতি তারা দিয়েছিল, তা ভঙ্গ করে। এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল কতৃপক্ষ ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্তাধিকারী আশরাফুল আসাদকে আশ^স্ত করে, যে তারা থাইল্যান্ড গিয়ে তাকে কিছু অর্থ প্রদান করবেন। কিন্তু তারা সেটা করেন নি। ১৬ই জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার বনানী থানায় এক সম্মিলিত আলোচনা কালে ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্তাধিকারী আশরাফুল আসাদ দাবি করছেন, গত ২ মাস তিনি তার প্রাপ্য ৩৪ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার জন্যে এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল-এর অফিসে ঘুরছেন। এবিষয়ে এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনালের সিইও গোলাম কিবরিয়া জানান, ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস প্রতিশ্রæতি অনুযায়ি সকল সার্ভিস নিশ্চিত করতে ব্যার্থ্য হয়েছে, পাশাপাশি ট্যুর চলাকালিন সময়ে ব্যাংককে তাদের হেড ওফ ফাইনান্সের হাতে থাইল্যান্ডের খরচের বিল দিয়ে, ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী থাইল্যান্ড ত্যাগ করেন, এবং তাদের ও তাদের কোম্পানির সম্মানহানী করেছেন বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ। তারা এও দাবি করেন, ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের সকল প্রতিষ্ঠানিক কাগজপত্র আপটুডেট নেই এবং বিল উত্তলনের নামে, এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের সম্মানহানী ও পেশিশক্তি প্রদর্শনের মত ঘৃনিত আচরন ও করেছে।
এদিকে, এবিষয়ে ডবিøউ ডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্তাধিকারী আশরাফুল আসাদ বিডিটাইমস কে জানান, এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল একাধিক বার আমার সাথে প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করে, এবং তাদেরই প্রতিশ্রæতির ওপর ভিত্তিকরে আমি থাইল্যান্ড যাই, কিন্তু তারা যখন বিষয়টি নিয়ে গড়িমশি শুরু করে, তখন আমি তাদের হাতে বিল দিয়ে থাইল্যান্ড ত্যাগ করি, এই অপরাধে তারা আমার বিল আটকে রাখতে পারে না। এবং এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল যে অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ন মিথ্যা, আমার প্রস্তাবিত প্যাকেজ অনুযায়ি সকল সার্ভিস আমি সঠিক ভাবে ও পরিপূর্ণ রূপে প্রদান করেছি। এবং অবশেষে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই।
সর্বশেষ তথ্যঅনুযায়ি এনেক্স ওয়াল্ডওয়াইড লিমিটেড এবং এশিয়াটিকা ইন্টারন্যাশনাল এবং উইকম.কম এর হেড ওফ ওপারেশান জনাব নজরুল ইসলাম সিআইডির হেফাজতে। সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, ইমাম হোসেন, আজ সিআইডি সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, “আমরা তাদের প্রতারনার বহু ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। অনেকেই তাদের প্রতারনার শিকার। আবার অনেকে এখনও রিফান্ডের অপেক্ষায় আছেন কারণ প্লাটফর্মগুলি অর্ডার করা পণ্য সরবরাহ করেনি। তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্র¯ু‘তি নিচ্ছেন।”
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: অপারেশন হেড নজরুল ইসলাম, হিসাব কর্মকর্তা সোহেল হোসেন, ডিজিটাল যোগাযোগ কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ আনিক, হেড ওফ সেলস মো: সাজ্জাদ হোসেন, কল সেন্টার নির্বাহী মুনা পারভেজ এবং প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মাসুম হাসান। এর আগে ডেসটিনি সহ বহু এমএলএম কোম্পানি বাংলাদেশের অনেক সাধারন মানুষের আ¯থা ও অর্থ লোপাটের মত ঘটনা ঘটিছে, এবার তারই ধারাবাহিতায় এই বিষয় অন্য মোড়কে ধরা দিলো। সাধারন ব্যবসায়িরা এধরনের বিষয়গুলোর একটা সুষ্ঠ সমাধান প্রত্যাশা করেন সংশ্লীষ্টরা।