শীতের কনকনে ঠান্ডায় আবারও বন্যার আশঙ্কা তিস্তা পাড়ের মানুষদের। কোনরকম আগাম সতর্কতা ছাড়াই দার্জিলিংয়ের সেবকের কালিঝোড়া ড্যাম থেকে সোমবার (৮’ই জানুয়ারি) দুপুরে ব্যাপক পরিমাণ পানি ছেড়েছে পশ্চিমবঙ্গের সেচ দপ্তর। ফলে পানির চাপ সামলাতে খুলে দেয়া হয়েছে গজলডোবার গেটগুলো।
জানাযায়, সোমবার এক সাথে প্রায় ৪ হাজার কিউমেক বা ১ লাখ ৪১ হাজার ২৫৮ কিউসেক পানি ছাড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে শীতের মৌসুমে বরফগলনে বন্যার আশঙ্কা থেকেই এই বিপুল পরিমান পানি ছাড়া হয়েছে। যদিও ঠিক কি কারণে এত পরিমাণ পানি ছাড়া হয়েছে বা সেই বিষয়ে কোনও তথ্য স্পষ্ট করে জানাতে অস্বীকার করেছে ভারতের সেচ দপ্তর। পানি ছাড়া বিষয়ে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফ্লাড কন্ট্রোল সেন্টারে বারবার ফোন করা হলেও কোনও জবাব মেলেনি। শীতের মৌসুমে এত পরিমান পানি ছাড়ার ঘটনা কার্যত বিরল। এতে অসময়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের তিস্তার বিস্তীর্ণ অংশে। যদিও পানি ছাড়ার তথ্য স্বীকার করে জলপাইগুড়ির জেলাপ্রশাসক শামা পারভিন জানান, সোমবার বিকেল ৪ টার পর সেবকের কালিঝোড়া থেকে আচমকাই প্রায় ৪ হাজার কিউমেক পানি ছাড়া হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরফলে জলপাইগুড়ি ও মেখলিগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় তিস্তার পানিস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিস্তায় বন্যার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গে জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসক তমজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন তিস্তা ব্যারেজ থেকে পানি ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এজন্য আমরা নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছি। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।