দীর্ঘ ৭২’ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুরু হচ্ছে শাটল ট্রেন চলাচল। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক বৈঠকে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন ছাত্র ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় ট্রেনের চালক ও সহকারীকে। এ ঘটনার পরই ট্রেন চলাচলা বন্ধ হয়ে যায়।
বৈঠকের পর প্রক্টর জানান, ‘আমরা রেলওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বিকাল ২টা ৫০ মিনিটের বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন বটতলী স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। লোকোমাস্টাররা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। প্রক্টর আরও বলেন, ‘লোকোমাস্টাররা বলছে তাদের মারধর করা হচ্ছে, কিন্তু এর কোনো প্রতিবিধান হচ্ছে না। তারা বিচার দাবি করছে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। তারা উপাচার্যের সঙ্গে এ বিষয়ে বসবেন বলেছেন। নিরাপত্তার অজুহাতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে লোকমাস্টাররা এখনও ট্রেন চলাচলে রাজি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন বন্ধ হয়েছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য আটটি বাস রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ছাদে বসে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চৌধুরী হাট এলাকায় ভেঙ্গে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৬ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার জেরে ওইদিন শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছালে লোকমাস্টারদের লাঞ্ছিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন এলাকার স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাড়ি। নগরীর ষোলশহরের স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদীন জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু সমাধান না হবে ততক্ষণ শাটল ট্রেন বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ষোলশহর থেকে পাঁচটি ও বটতলী থেকে তিনটি বাসের ব্যবস্থা করেছে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে জন্য।