পদ্মা সেতু চালুর পর আকাশ পথে যাত্রী কমেছে ঢাকা-বরিশাল রুটে। বছর খানেক আগেও বরিশাল বিমানবন্দরে দিনে ১১টি ফ্লাইট ওঠানামা করেছে। এর মধ্যে বিমানের ফ্লাইট চলেছে সপ্তাহে ৬ দিন, আর প্রতিদিন চলাচল করেছে ইউএস বাংলার ফ্লাইট। তবে, বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আকাশপথে বিমান ওড়া বন্ধ হচ্ছে ইউএস বাংলার বিমান বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
যাত্রী সংকটের কারণে এক বছর আগে ঢাকা-বরিশাল রুটে বন্ধ হয়েছে নভো এয়ার। সেই একই কারণে কাল থেকে বন্ধ হচ্ছে ইউএস বাংলার ফ্লাইটও। এজেন্সিগুলো বলছে, পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়ার পরও এ ধরনের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য করেননি ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ধারণ ক্ষমতার পুরো যাত্রী পাওয়ার পরও ঢাকা-বরিশাল রুটে ফ্লাইট না চালানো রহস্যজনক। উড়োজাহাজ ও যাত্রী সংকটের কথা জানিয়ে এর আগে গত বছরে নভোএয়ারের চলাচল বন্ধ হয়। একই অজুহাত এবার ইউএস-বাংলারও।এ’পথের পর্যবেক্ষকরা জানান, ঢাকা-বরিশাল দেশের অন্য যে কোনো উড়াল পথের চেয়ে লাভজনক। মাত্র ৬১ অ্যারোনটিক্যাল মাইলের এই দূরত্বটুকু পার করতে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয় বিমান সংস্থাগুলো। এরপরও বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না তাদের। এদিকে জরুরি প্রয়োজনের জন্য হলেও এই রুটে উড়োজাহাজ চালু রাখার দাবি যাত্রীদের। আর ট্যুরিস্ট ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বলছে, যথেষ্ট যাত্রী পাওয়ার পরও ফ্লাইট কমানো বা বন্ধের যৌক্তিকতা নেই। এই দুই বিমান সংস্থার ফ্লাইটে শতভাগ কোঠা পুরোন করতে মাসে যাত্রী দরকার ৫৬৮০ জন যাত্রী। কিন্তু গত জুলাই মাসেও যাত্রি মিলেছে ৪৫৩০ অর্থাৎ চাহিদার ৭৮%। এর পরেও বিমানের ফ্লাইট কমানো বা বন্ধ করার কোন যুক্তি দেখছেন না এরা।
আকাশপথে যোগাযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় বরিশালে ফ্লাইট চালু রাখতে উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এর আগে, ২০২২ সালের আগস্টে যাত্রী সংকটের কারণ দেখিয়ে এই রুটে বন্ধ করে দেয়া হয় নভো এয়ারের ফ্লাইট।