রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দল গত শুক্রবার রাখাইনে ঘুরে আসার পর আবারও আলোচনায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।জানা গেছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা মংডু পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন, আপাতত এনভিসি কার্ড দিয়ে ফেরত নেয়া হলেও; পরবর্তীতে নাগরিকত্ব, ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা আর জমিজমার বিষয়টি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। যদিও তাতে আপত্তি রোহিঙ্গাদের। একজন রোহিঙ্গা বলেন, আমাদের অধিকার, নাগরিকত্ব, জমিজমা পেলে আমরা সবাই মিয়ানমারে যাবো।
শরণার্থী কমিশন বলছে, প্রত্যাবাসনের পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি অনুযায়ীই সুযোগ-সুবিধা পাবে রোহিঙ্গারা। তাই এখন প্রত্যাবাসন শুরু করাটা বেশি জরুরি। রোহিঙ্গাদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, এরকম কথা বললে তো সমস্যার সমাধান কখনোই হবেনা। দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা আমরা দেখতে পেয়েছি। যে সমস্যা ৬০-৭০ বছর ধরে চলছে সেটা একদিনে সমাধান হবে না। একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। তবে, নাগরিক সমাজ মনে করে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এতদূর আসার পর রোহিঙ্গাদের পিছুটান যৌক্তিক নয়। তাদের বাস্তবতা অনুধাবন করা উচিত।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের দাবি যৌক্তিক না। ওদেশে (মিয়ানমার) গিয়েই ও দেশের নাগরিকতা খুঁজতে হবে। কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা চলছে।আসলে জাতিসংঘ চাচ্ছে কিনা ওরা ঠিক সময়ে প্রত্যাবাসিত হোক, এটাও আমরা বুঝতে পারছি না। কোনো পক্ষ যেন প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে না পারে, সেজন্য কঠোর নজর রাখার তাগিদ দিলেন নাগরিক সমাজ।