এশিয়ার মুদ্রাবাজারে হঠাৎ ব্যাপক ধস নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সেটা নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)।
বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার চেয়ে যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার বিপরীতে এশিয়ার অধিকাংশ মুদ্রার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। গত ১’লা মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। বার্তা সংস্থার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত মাসে ইউএস ভোক্তা মূল্য সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে বিগত ১ বছরে তা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রত্যাশার চেয়ে যা বেশি। ফলে অতি আক্রমণাত্মক মুদ্রানীতি গ্রহণ করে যেতে পারে ফেড। এতে ডলার সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। ফলে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে মালয়েশিয়ার রিঙ্গিতের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। গত জানুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন।
ডলারের বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাথের মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। গত ১২ জানুয়ারির পর যা সবচেয়ে কম। ভারতের মুদ্রা রুপির দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। গত ১ মাসের মধ্যে তা সর্বনিম্ন। ডলারের বিপরীতে জাপানের মুদ্রা ইয়েনের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১৩৩ দশমিক ৩৩ ইয়েনে। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। চীনের মুদ্রা ইউয়ানও দর হারিয়েছে। গত ১ মাসের মধ্যে তা সর্বনিম্ন। প্রতি ডলার বিকিয়েছে ৬ দশমিক ৮৪৬৩ ইউয়ানে। ফেড কর্মকর্তারা বলছেন, এখনও সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা উচিত। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সেটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।