গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, সাবেক কমিশনাররাও এ বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাবেক সিইসি, ইসি ও কমিশনের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন অন্তত ১৪ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। বেলা ১১’টায় শুরু হয় এ বৈঠক। এতে নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন প্রধান নির্বাচন কশিমনার। এ’সময় এনআইডি কমিশন থেকে সরানো উচিত হবে না বলেও মত দেন সাবেক সিইসিরা। ভোটার তালিকা ও এনআইডি আলাদা করলে নতুন করে সমস্যা তৈরি হবে বলে জানান তারা। এ’সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, গাইবান্ধার ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত ক্রিটিক্যাল ছিল। সবাই ইসির সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দিয়েছে। গাইবান্ধা অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠক শেষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে উল্লেখ করে ইভিএমের পরিবর্তে সিসি ক্যামেরা কেনার জন্য কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখওয়াত হোসেন ও অন্যান্য কমিশনাররা। এ’সময় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভালো হোক মন্দ হোক। দেড়শ আসনে ইভিএম না কিনে যতখানি পারেন তার চেয়ে বেটার সিসি ক্যামেরা কেনেন। এটা শুধু কেন্দ্র থেকে নয়, ভাগ করে দেন পাঁচজন কমিশনার আছেন। এগুলো রেকর্ডেড থাকবে।
পেপার ব্যালটে ভোট চুরি করলেও খুব সহজেই শনাক্ত সম্ভব জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনাদের কাছে ভোটার তালিকা আছে। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা সিগনেচার আছে। ম্যাচ করা যায়। সূক্ষ্ম কারচুপি যেটা আপনারা দেখলেন ইভিএমে কোনো ঝামেলা নাই। হইচই নাই। ভেতরে কি হচ্ছে। অন্য সিস্টেমে যেটা হবে বাইরেও হইচই হবে। একজন লোক পারবে না। বুথ ক্যাপচার করতে পাঁচ ছয়জন লোক লাগবে। তখন প্রতিপক্ষ হইচই করবে। সেটা আপনারা আরও ভালো করে দেখতে পারবেন। এর আগে গত জুনের বৈঠকে সাবেক সিইসি, ইসি ও কর্মকর্তাদের অন্তত ২৮ জনকে আমন্ত্রণ দিলেও বৈঠকে অংশ নেন দশজন। এরও আগে গত ৮ অক্টোবর ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল নির্বাচন কমিশন।