রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রোববার রাত ১২টার পর পরই নতুন এই দাম কার্যকর হচ্ছে।
মধ্যরাত থেকে নতুন দামে জ্বালানি তেল বিক্রি শুরু করেছে পেট্রল পাম্পগুলো। ফার্নেস অয়েলের দাম কমার ২৪ দিনের মাথায় দেশে সব ধরনের জ্বালানী তেলের দাম কমেছে। অকটেন ও পেট্রোল লিটারে দশ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেল লিটারে তিন টাকা কমানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নতুন দাম কার্যকর হলে মধ্যরাত থেকে অকটেন ৮৯ টাকা, পেট্রোল ৮৬ এবং ডিজেল ও কেরোসিন ৬৫ টাকায় পাওয়া যাবে। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মূল্য সমন্বয় করে সরকার জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করেছিল। তখন প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দাম কমার প্রেক্ষিতে সরকার তেলের দাম কমানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।সেই সিদ্ধান্তের পর ৪ এপ্রিল জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অন্য সব জ্বালানী তেলের দামও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি আজ পূরণ হলো। বাংলাদেশে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ফার্নেস অয়েলের প্রয়োজন হয়। সরকার এ কারণে মূলত ফার্নেস অয়েলের দাম লিটার প্রতি ১৮ টাকা হ্রাস করে।
মধ্যরাতে নতুন দামে বিক্রি শুরুর পর, কিছু পাম্পে দেখায় দেয় তেল সংকট। পাম্প মালিকরা জানান, মজুদ কম থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তেলের দাম কমায় সন্তুষ্টি জানিয়েছেন ক্রেতারা।