নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিতে পারে বিএনপি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। দল দুটি বিষয়টি অস্বীকার করলেও ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি খোলাখুলিই বলেছে, দলের সভাপতি অলি আহমদ নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টা বা মন্ত্রী হচ্ছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। এই সরকারের রুপ কেমন হবে তা অবশ্যই জাতীয় এক্যের মাধমে নির্ধারণ করতে হবে। কোন একটি দলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।’বিশ দলীয় জোটের শরিক দল এলডিপি অবশ্য স্বীকার করছে, সরকারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের কথা। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আর ভুল করবে না এলডিপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা মধ্য অক্টোবরের পর। এর আগেই বর্তমান মন্ত্রিসভা ছেঁটে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় সংসদের বাইরে থাকা কোনো কোনো দলের প্রতিনিধি যোগ দিতে পারেন।আলাপ-আলোচনা চলছে এরইমধ্যে সরকারের তরফ থেকে বিএনপির দুই জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা ফখরুল ও খন্দকার মোশাররফের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে রাজনীতির অন্দরমহলে আলোচনা উঠেছে। যদিও এই দুই নেতা এনিয়ে কথা বলতে চাননি। তবে অপর এক নেতা এটাকে গুঞ্জন বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ বলছে নির্বাচনকালীণ সরকারে কারা থাকবে এটা এখনো ঠিক হয়নি।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, প্রাথমিকভাবে বর্তমানে যারা পার্লামেন্টে আছেন তাদের কাছ থেকেই বাছাই করা হবে।কিন্তু সরকার প্রধান যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টের বাইরে থেকে কাউকে নিতে চান,সেতা তিনি বিবেচনা করতেই পারেন।সংবিধান অনুযায়ী, টেকনোক্র্যাট কোটায় এক দশমাংশ মন্ত্রী রাখার বিধান আছে।
রুজমিলা হক
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ