চাঁদপুরের হরিনা ফেরিঘাট এলাকা থেকে কাছেই গোবিন্দা গ্রাম। সেখানেই দুপুরের দিকে নৌকায় বসে জেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন বলছিলেন, নদীতে ইলিশ মাছ কমে গেছে। আবার নদীও তার বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে। তার মত অনেক জেলেই এমন অবস্থায় উদ্বেগ নিয়ে বসবাস করছেন। গত ২০/২৫ বছর ধরে মেঘনায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন জেলে মো: বিল্লাল হোসেন।
ভাঙ্গন রোধে এমন নানা ব্যবস্থা নেয়া হলেও বহু স্থানেই মেঘনার ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। তবে নদী ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত হয়ে তার মতো অনেক জেলেই এখন পেশা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে বেঁচে থাকার তাগিদে। তিনি বলেন, “নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আমার বাড়ির কাছে চলে এসেছে”। তার মতে নানা কারণে নদীতে মাছের পরিমাণও অনেক কমে গেছে। “আগের চেয়ে নদীতে ইলিশ পাওয়া যায় কম। জাটকা ধরলে বর্ষায়ও ইলিশ কম পাওয়া যায়”। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন নদী ভাঙ্গনকেই।বালুর বস্তা আর কংক্রীটের ব্লক ফেলে চেষ্টা করা হয় ভাঙ্গন রোধের “নদী ভাঙ্গনের কারণে আমরা গরীব মানুষ আমাদের অন্য দিকে জমি কিনে থাকার সুযোগ নেই। হরিনা ফেরিঘাট হইতে আকনঘাট পর্যন্ত ভাঙ্গন চলছে”।
সামনে বন্যার সময় আরও বেশি ভাঙ্গবে এমন মন্তব্য করে মেঘনার এই জেলে বলেন নদী ভাঙ্গনের কারণে অনেক স্রোত হয় তখন জেলেদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। বিল্লাল হোসেন বলেন অনেকে নদী ভাঙ্গার কারণে ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে কারণ তাদের নতুন জায়গা কেনার সামর্থ্য নেই, এখন তাদের অনেকে ফুটপাতে ব্যবসা করে, কেউবা অন্য কিছু। অথচ এক সময় নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিলো তাদের জীবন।