আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। ২৫ মার্চ গণহত্যার প্রেক্ষাপটে আজকের দিনে স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। একটি নিজস্ব রাষ্ট্রের জন্য বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম এদিন থেকে সশস্ত্র যুদ্ধে রূপ নেয়। এ বছর উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি আসায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন আরো বেশি তাৎপর্য নিয়ে এসেছে।

প্রায় দুই যুগের পাকিস্তানি শোষণের প্রেক্ষাপটে সাতই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে মুক্তির ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে একদিকে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন অন্যদিকে, আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করে গণহত্যার নীলনকশা করে ইয়াহিয়া সরকার। ২৫শে মার্চ রাতের আধারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী। মৃত্যুপুরীতে পরিণত ঢাকাসহ গোটা দেশ।

২৫শে মার্চ কাল রাতে অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর পর পরই গ্রেপ্তার হন স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আটকের আগেই স্বাধীনতা ঘোষণা করে পাঠান বার্তা। সে বার্তাই ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বেতারসহ নানাভাবে প্রচার হয় সারাদেশে।
প্রথম প্রতিরোধ আসে রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ইপিআর থেকে। পরদিন গ্রামে-গঞ্জে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার খবর পৌঁছে গেলে, দেশকে শত্রুমুক্ত হাতে অস্ত্র তুলে নেয় বাঙলার দামাল ছেলেরা। তারপর টানা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াই। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদানে অর্জিত হয় একটি স্বাধীন দেশ- বাংলাদেশ। এ বছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দেওয়ায় দিবসটি উদযাপনে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা আয়োজনে দিনটি পালন করছে গোটা দেশ। দীর্ঘ ৯ মাস কিংবা ২৬৬ দিনের সেই রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের সফল পরিণতিতে বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিল একটি নতুন রাষ্ট্র, আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, প্রিয় বাংলাদেশ।

নোমান রহমান
বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে