Leaving No Youth Behind: Decade of Action এই প্রতিপাদ্য-কে সামনে রেখে ২৩-২৪জুলাই, ২০২২ইং কক্সবাজারের হোটেল লং বীচ -এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘এসডিজি ইউথ সামিট ২০২২’। মূলত ইউথদের স্কিল ডেভেলপ এবং এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য এই সামিটের আয়োজন করেন জিএলটিএস সহ আরো ৮টি সংস্থা। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডেলিগেট এবং স্পীকার অংশগ্রণ করেন।
২৩জুলাই, শনিবার ২০২২ইং সকালে নান্দনিক উদ্ভোধনী আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয়। এর পরবর্তীতে ১ম দিন দুটি সেশন ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক ফর ইকোনমিক গ্রোথ এন্ড ইউথ এক্সপেকটেশনস এবং কোয়ালিটি এডুকেশন ফর দ্য ফিউচার জেনারেশন’-এর আয়োজন করা হয়।যেখানে কিভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং তরুণদের কর্ম সংস্থান করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সু-শিক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
কালচারাল গালানাইট অনুষ্ঠিত হয় যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ডেলিগেটগণ অংশগ্রণ করেন। জিএলটিএস প্রফেশনাল থিয়েটার-এর প্রযোজনায় ‘সুন্দরী’ মঞ্চনাটক মঞ্চায়ন করা হয়। নাটকটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “সবুজ শক্তি, সবুজে মুক্তি।” অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন ত্রয়ী।২৪ তারিখ সকালের জিএলটিএস দ্বারা একটি রেলি আয়োজন করা হয় কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে। সবুজ যুদ্ধ, সবুজে মুক্তি এই প্রতিপাদ্য বিষয় টি কে কেন্দ্র করে রেলি আয়োজন করা হয়।
পরবর্তীতে চারটি সেশনে ডেলিগেটসগণ অংশগ্রহণ করে।’ডিসপ্লেমেন্ট এন্ড মাইগ্রেন, জেন্ডার ইকুয়ালিটি, ইউমেন এম্পাওয়ারমেন্ট এন্ড পিস, ক্লাইমেট অ্যাকশন, অন্টাপ্রনারশিপ, ইনোভেশন এন্ড স্টার্টাপ,এই বিষয়গুলোর ওপর আয়োজন করা হয়। যেখানে ডেলিগেটসদের দক্ষতা বৃদ্ধি, নারী কর্ম সংস্থান, লিঙ্গ বৈষম্য দূরিকরণ এবং পরিবেশ রক্ষার্থে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।সমাপনী অনষ্ঠানের পূর্বে সামিট পাটনার্সরা সৌজন্য বক্ততব্য প্রদান করেন।এর পরবর্তীতে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী যুব ও ক্রীয়া মন্ত্রণালয়ের জাহিদ আহসান রাসেল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশেক উল্লাহ রফিক, মাননীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ। শামীম হায়দার পাটোয়ারি, মাননীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ। মেসবাহ উদ্দিন, সচিব, যুব ওপরিমাণ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ।
এছাড়াও প্যানেলের বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. এম শমসের আলী, প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। সামিট সঞ্চালনা করেন, মোঃ মাহির দাইয়ান ডেপুটি ডাইরেক্টর গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি। এসডিজি ইউথ সামিটে এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জনে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি কর্তৃক প্রস্তাবিত সুপারিশ সমূহঃ
১) তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সুযোগের সৃষ্টি করতে হবে।
২) জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্বলতা এবং জলবায়ু বিচার বাস্তবায়ন করা।
৩) অনতি বিলম্বে যে কোনো ধরণের নদী ও জলাশয়ের দখন ও বন উজার বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ।
৪) নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
৫) তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৬) সবুজ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।
৭) জলবায়ু অভিবাসন এবং অনিচ্ছাকৃত স্থানচ্যুতি হ্রাস করা
৮) শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুবকদের নিযুক্ত করা
এসডিজি গোল অর্জনে জিএলটিএস সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।এই ইউথ সামিট দ্বারা ডেলিগেটস এবং স্পীকারগণ একমত হন যে, এসডিজি গোল’স বাস্তবায়নের বিকল্প নেই এবং সবাই অঙ্গীকার বদ্ধ হয় সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে কাজ করবেন পরিবেশের জন্য।
সামিটে আয়োজক প্যানেলের সদস্য এবং ডেলিগেট গ্লোবাল ল থিংকারস সোসাইটির ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট সহযোগী এবং সম্মিলিত সামাজিক জোট, কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পলল বলেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের তরুণরা এখন সোচ্চার, বাংলাদেশীয় যুবারা এখন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে জেন্ডার কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, এমন ইয়ুথ সামিট তরুণ যুবক নেতৃত্বের অনুপ্রেরণাকে আরো বাড়িয়ে দিবে, এই প্রত্যাশা করি আমরা খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার প্রান্তিক অঞ্চল থেকে।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ