জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।।গত কয়েক দিন ধরে তরমুজের অগ্নিমূল্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। তীব্র গরম আর রমজানকে পুঁজি করে অতি মুনাফালোভী বিক্রেতারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে এক একটি তরমুজের দাম হাঁকছেন পাঁচ‘শ থেকে ছয়‘শ টাকা।
ফলে অতিরিক্ত দামের কারণে তরমুজ কিনতে পারছিল না সাধারণ মানুষ। দাম নিয়ে প্রায়ই ক্রেতাদের সাথে বিক্রেতাদের বাকবিতন্ডা হয়। বিক্রেতারা ক্রেতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করারও অভিযোগ উঠে। শুধু তরমুজই নয় আঙ্গুর, আপেল, আনারসসহ অন্যান্য ফলের দামও খুব চড়া বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি আমলে নিয়ে সোমবার বেলা ১১টায় পৌরশহরের সড়ক বাজারে আখাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন। আদালত দেখে কয়েকজন বিক্রেতা বিক্রি বন্ধ করে দোকান ফেলে চলে যায়।
এসময় ফল বিক্রেতাদের ক্রয়ের রসিদ যাচাই করে দেখেন আদালত। অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি করায় তিন বিক্রেতাকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত বিক্রেতারা হলো সিদ্দিক মিয়া, নাঈম ও হৃদয়। তাদের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কশিনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম। আদালতকে সহযোগিতা করেন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এসময় হনুফা বেগম নামে এক নারী বলেন, মাঝারী সাইজের একটি তরমুজ সাড়ে তিন‘শ টাকা বলেছি।বিক্রেতা তবুও দিচ্ছে না। এত দাম হলে বাচ্চাদেরকে কিভাবে তরমুজ খাওয়াবো। আদালতের কাছে বিক্রেতারা ক্রয়কৃত মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তরমুজ বিক্রি করার অঙ্গীকার করেন।উপজেলা সহকারী কশিনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করায় তিন বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালত অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ