সাইফ স্পোটিংয়ের কোটি টাকার অফার ফিরে দিয়ে আরামবাগেই থাকছেন উয়েফা লাইসেন্সধারী একমাত্র কোচ মারুফুল হক। গফরগাঁওয়ের গর্ব ফুটবল কোচ মারুফুল হক প্রচারবিমুখ একজন কোচ ছিলেন বুয়েটের শরীর চর্চার শিক্ষক ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের কোচ মারুফুল হক। ক্রিকেট, ফুটবল, অ্যাথলেটিক্স, হকি, সুইমিং, কাবাডিসহ অনেক খেলাতেই অংশ নিয়েছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত থেকেছেন ফুটবলে। ফুটবলও তাকে সাফল্য উপহার দিয়েছে দুহাত ভরে।
তবে এখনো কোচদের মূল্যায়নে পেশাদারিত্ব আসেনি বলে মনে করেন কোচরা। ফুটবলারদের উচ্চ মূল্যের কাছে নামমাত্র পারিশ্রমিক পাচ্ছেন কোচরা। কোটি টাকার অফার ফিরিয়ে পেশাদ্বারিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন দেশের একমাত্র উয়েফা লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুল হক। অথচ এই পেশাদ্বারিত্বের বড্ড অভাব দেশের ফুটবলারদের। কিন্তু তারাই পাচ্ছেন আঁকাশ ছোঁয়া পারিশ্রমিক। সেখানে অনেকটাই উপেক্ষিত কোচরা।
বদলেছে সময়, কোচদের অনানারী পোষ্টটা এখন রুপ পেয়েছে পেশা হিসেবে। এক সময় কোচরা পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করতেন ক্লাবে। কিন্তু এখন সম্মানের সাথে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন দেশীয় কোচরা। কিন্তু ফুটবলারদের মত উচ্চমূল্য কি পাচ্ছেন দেশের কোচরা। গত মৌসুমে সর্বচ্চো পারিশ্রমিক পাওয়া দেশীয় কোচ সাইফুল বারী টিটু। চট্টগ্রাম আবাহনী পুরো মৌসুমে ব্যয় করেছে ১০ কোটি টাকা। সেখানে কোচের পারিশ্রমিক ৩৮ লাখ। দ্বিতীয় সর্বচ্চোর তালিকায় আছেন মারুফুল হক। পেয়েছিলেন ৩৫ লাখ টাকা। তার ক্লাব আরামবাগের মোট ব্যয় ৪ কোটি টাকা।
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ২০১৭-১৮ মৌসুমে খরচ করেছে সাড়ে সাত কোটি টাকা। ক্লাবটির কোচ শফিকুলের ইসলামের পারিশ্রমিক পেয়েছেন ৩১ লাখ টাকা। আর আড়াই কোটি টাকার রহমতগঞ্জ এমএফএস কোচ কামাল বাবু পেয়েছিলেন ২০ লাখ টাকা। দেশীয় কোচদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে ফুটবল ফেডারেশন। আয়োজন করছে গ্রেড ভিত্তিক কোচেস প্রোগ্রাম। যাতে করে চাকরির বাজারে চওড়া না হোক অন্তত্য যোগ্য পারিশ্রমিক যেন পান কোচরা।
স্পোর্টস ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ