শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি বিশ্লেষণধর্মী এবং অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে ভিন্ন আঙ্গিকে বাস্তবধর্মী প্রয়োগিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে উদ্ভাবনী মানসিকতার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। মহান বিজয় দিবস, মুজিববর্ষের সমাপনী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার দর্শন হলো; নারী মুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী জাগরণ। তাই রোকেয়ার দর্শনকে অনুসরণ করে আমাদের সমাজকেও এগিয়ে নিতে হবে। শিক্ষা উপমন্ত্রী গতানুগতিক ধারার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনায় অংশ নেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনে সকাল ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, সাংবাদিক সমিতি, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারারসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর।
মহান বিজয় দিবস ২০২১, মুজিববর্ষের সমাপনী ও বাংলাদশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন আলোকসজ্জ্বা করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় খেলার মাঠে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো হয়। আবাসিক হলগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
ক্যাম্পাস ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে