মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার উজগ্রাম- টিয়রখালি সড়কের মধ্যবর্তী বারেঙ্গা নামক সেতুটি রেগুলেটর সমৃদ্ধ (সুইচগেট) সেতু নির্মাণ করতে গত এক বছর আগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মান কাজ শুরু হয়।

ব্রিজটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান মাগুরা অরিন এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হলে জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য একটি পার্শ্ব রাস্তা করে দেয়া হয়। যা চালাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন এ সড়কে টিয়রখালি, সেওজগাতি, দীগলগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, সাংদা, খিলগাতি, দরি লক্ষ্মীপুর সহ দশ গ্রামের মানুষ নিত্য প্রয়োজনে যাতায়াত করে এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা, মন্দির ও উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারে যাতায়াত করেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন মিনি ট্রাক, ভ্যান, ইজিবাইক, লাটা, করিমন, গ্রামবাংলা সহ স্থানীয় নানাবিধ যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে থাকে।  জনগুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় কারনে সীমাহীন দুর্ভোগের মাঝে দিন কাটাতে ঐ এলাকায় বসবাসরত  হাজার হাজার মানুষ। অনেকে আবার তিন কিলোমিটার পথ বেশি পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন জানান, গতবছর বর্ষাকালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও  দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি এক বছরে। পাশাপাশি তারা আরো বলেন, চলাচলের জন্য পার্শ্ববর্তী যে রাস্তাটি করে দেয়া হয়েছে তা দিয়ে শুধু একজন মানুষই যেতে পারে, কোন গাড়ি যেতে পারে না। এব্যাপারে তালখড়ি ইউনিয়নের 8 নং ওয়ার্ডের সদস্য রিয়াজ মোল্লা জানান, ঠিকাদারের অবহেলার কারণে আশেপাশের গ্রামের মানুষ জীবিকার তাগিদে আড়পাড়া বাজারে যেতে পারছেন না। এছাড়াও যাতায়াতের জন্য পার্শ্ববর্তী যে রাস্তা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ চলাচলের অযোগ্য। সেতু নির্মাণ কাজের ঠিকাদার অরিন এন্টারপ্রাইজের পরিচালক ইব্রাহিম বলেন,  পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি। পানি কমে গেলে কাজ আবার শুরু করা হবে। মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে জানানো হবে এবং  ব্রীজের নির্মান কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওআশ্বাস প্রদান করেন।

ডেস্ক রিপোর্ট।। বিডি টাইমস নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে