আবুল কাশেম রুমন,সিলেট সংবাদদাতা।। সিলেটের বাজারে আসছে প্রতিনিহত শীতকালীন নতুন সবজি যার ফলে কমেছে দাম কমেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম আগের চেয়ে অর্ধেকে পর্যন্ত কমেছে। এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীর এই কঠিন সময়ে সবজির দাম কমায় খুশি ক্রেতারা।
সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের সব কাঁচাপণ্যের দোকানেই শীতকালীন সবজির ভালো সরবরাহ। এ কারণে দামও কমতির দিকে। বেগুন ৭০ টাকা থেকে কমে এখন ৪০-৫০ টাকা, সিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও তা কমে ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, পাতাকপি ৬০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি দরে হচ্ছে। শসা ৪০ থেকে কমে ৩০ টাকা, গুটি আলু ১৮-২০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে কমে ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা বিক্রি হলেও কমে ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে কমে ৩০-৪০ টাকা, পেপে ১৫ টাকা, আদা ৭০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৫০ টাকা থেকে কমে ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা থেকে কমে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনেরও দাম কমে ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে সিজন না হওয়ায় পটল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বন্দরবাজারে বাজার করতে আসা জুনেল আহমদ বলেন, আমি একটি দোকানে চাকরি করি। আমার যে আয়, তা দিয়ে কোনোরকম করে সংসার চালাই। কিন্তু জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বেতনের বেশির ভাগ টাকা কাঁচাবাজার করতেই লেগে যাচ্ছিলো। তার ওপর তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। তবে গত দুই সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে সবজির কিছুটা কমেছে। এতে করে বাজার করতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছি।
বন্দরবাজারে সবজি বিক্রেতা সেলিম আহমদ বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে সীমিত পরিসরে শীতকালীন সবজি বা তরিতরকারি উঠার কারণে দাম বাড়তির দিকে ছিল। বর্তমানে সিলেটের প্রায় সব এলাকাতেই শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবধরনের সবজির দাম কমেছে। কিছু সবজির দাম তো প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। কয়েক দিনের মধ্যে এসব পণ্যের সরবরাহ আরও বাড়বে, তখন আরও সস্তায় সবজি বিক্রি করা সম্ভব হবে।