জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা।। নবগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার যেন শেষ নেই। এবার সেই কমিটির সদস্য আবির মোহাম্মদ সোহাগকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে গেছে। সাইফুল ইসলাম এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। কেন্দ্র থেকে জেলা ছাত্রলীগের ৩৪৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণার পরই সমালোচনা শুরু হয়। কমিটিতে শুধু সহ-সভাপতি পদে ৯০ জনকে রাখাটাকে হাস্যকর বলেই মনে করা হচ্ছে। কমিটি সংশোধনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ হয়েছে জেলা সদরে। বিক্ষোভ থেকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবগঠিত ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত, মাদক ব্যবসায়ী, বিএনপি ঘরানার অনেকের ঠাঁই হয় বলে অভিযোগ ওঠে। জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলামের প্রেস বিজ্ঞপ্তি যেন ঐ অভিযোগের আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ হলো বলে মনে করা হচ্ছে। আবির মোহাম্মদ সোহাগ ২০০৪ সালে অনুমোদিত কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকার একটি কপি কালের কণ্ঠের হাতে রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ছাত্রদলের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন বলেও ছবি পাঠিয়েছেন অনেকে। তবে বিষয়টিকে অনেকে হাস্যকর হিসেবেও দেখছেন। দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটিতে থাকা নেতাকে হুট করে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কারের ঘটনাকে উদ্দশ্যপ্রণোদিত বলেও মনে করা হচ্ছে। কেননা সরকারি দলের আয়োজন সফল ও বিএনপির কর্মসূচি মোকাবেলায় আবির হোসেন কসবায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ বলেন, আবির হোসেন ২০১০ সাল থেকে ছাত্রলীগের পদধারী। সামনে সে আরো ভালো অবস্থানে যাবে। যে কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে একটি মহল তার পিছু লেগেছে।

কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম মানিক বলেন, আবির ছাত্রলীগের নিবেদিত কর্মী। দলে তার ভূমিকা রয়েছে। বহু আগে থেকেই সে ছাত্রলীগ করে। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আবির মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা কমিটির নেতাদের স্বাক্ষরে আমি ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে আসীন হই। ছাত্রলীগ দিয়েই আমার রাজনীতি শুরু। বিএনপির কর্মকাণ্ডে কখনোই আমি ছিলাম না। এখন আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সবার সুসম্পর্কে ঈর্ষান্বিত হয়ে এটা করছে তারা। এমনকি বিভিন্ন ছবি এডিট করে ফেসবুকে দিচ্ছে। যতটুকু জানতে পেরেছি, ছাত্রদলের মধ্যে বিভক্তিকে কেন্দ্র করে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ ধরনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, আবির ছাত্রলীগ করে বলে আমাদের কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ আসছিল। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এখন তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে