জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা।। আনিসুর রহমান, তুহিন দাস, নারায়ণ চক্রবর্তী যথাক্রমে ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু ধর্মের ‘পন্ডিত’ ব্যক্তি। মঞ্চে তারা যা বললেন এর সার সংক্ষেপ হলো,’কোনো ধর্মই হিংসা, হানাহানিকে সমর্থন করে না। সকল ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে।’ এ সময় তারা হাতে হাত রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।

বিভিন্ন ধর্মের পন্ডিতদের কণ্ঠে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা পরিবেশিত হয় শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত ‘ধর্মে ধর্মে সম্প্রীতি শীর্ষক আলোচনা সভা’ তে। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী কবিতা পাঠও হয় সেখানে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্নস্থানে সনাতন ধর্মের মন্দির-পূজামন্ডপ ও বাড়িঘরে হামলা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষুব্দ সংস্কৃতি সমাজের উদ্যোগে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা মঞ্চে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও বিক্ষুব্ধ সংস্কৃতি সমাজের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের পরিচালনায় এতে নিজের ধর্মগ্রন্থের আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ওলামা সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মাওলানা ক্বারী মো. আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যাপিস্ট চার্চ-এর কার্যকরী সভ্য টমাস তুহিন দাস, কাল ভৈরব মন্দিরের পুরোহিত নারায়ণ চক্রবর্তী। পরে তিন ধর্মের প্রতিনিধিরা হাতে হাত রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন প্রদর্শন করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক শামীম আহমেদ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন আমীর হোসেন। আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী বাছির দুলাল, তাবাসসুম মৃধা এবং দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে তিতাস আবৃতি সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।

বিক্ষুব্ধ সংস্কৃতি সমাজের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, আমরা নতুন প্রজন্মের মানুষের সামনে সম্প্রীতি বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ধর্মীয় পন্ডিতদের মাধ্যমে তাদের ধর্মের সম্প্রীতির বার্তা উপস্থানের চেষ্টা করেছি। এ কর্মসূচি মানুষকে সচেতন করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে