বগুড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের শতাধিক গাছ কাটার অভিযোগ ওঠেছে। জানা যায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৭ নং ভবানীপুর ইউনিয়নের বড়াইদহ গ্রামের মৃত নওশের আলীর দুই ছেলে ও মৃত আজিজ মিয়ার দুই ছেলে যৌথভাবে তাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে ১১২ টি ইউকালিপটাস গাছ লাগান। গাছগুলি অল্প সময়ের মধ্যে বড় ও দেখতে সুন্দর হয়ে ওঠে। গাছগুলো নিয়ে তাদের চারজনের মধ্যে অনেক স্বপ্ন দানা বেঁধে ওঠে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আর বাস্তবে রুপ ধারন করতে পারেনী,অধরাই থেকে গেল তাদের সেই স্বপ্ন প্রতিপক্ষের লোকজনের শত্রুতার কারনে।
গত (১৬ অক্টোবর) শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় একই গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে মীর্জা আঃ রশিদের কারনে। সে তাদের লালিত স্বপ্ন কে ধুলিসাৎ করে দিল। আঃ রশিদ তাদের চারজনের লাগানো গাছগুলিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে কেটে ফেলার মাধ্যমে তাদের লালিত স্বপ্নের পাশাপাশি তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে ফলানো গাছগুলিকে কেটে তাদের আয়ের ও রাস্তা বন্ধ করে দিল। উল্লেখ্য যে, গাছগুলি ১৫ ফুট লম্বা হয়েছিল। এ বিষয়ে তারা চারজন পরেরদিন ১৭ অক্টোবর মীর্জা আঃ রশিদকে জিজ্ঞেস করলে সে গাছ কাটার কথা স্বীকার করে সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ও দৌড়ে বাড়ির ভিতর থেকে দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র (হাত দা) নিয়ে এসে তাদেরকপ হত্যার উদ্দেশ্যে তাড়া করে। এ বিষয়ে সোমবার (১৮অক্টোবর) মোঃ ওমর আলী খন্দকার বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে বরাইদহ গ্রামের মাঠে মরিচের জমিতে কাজ করা কিছু লোক ও গ্রামবাসীর কাছে গাছ কে কেটেছে এমন প্রশ্ন করলে তারা আব্দুর রসীদ এর নাম বলেন ও তাদের নিকট আব্দুর রসীদ কেমন লোক জানতে চাইলে তারা বলেন আব্দুর রসীদের মেয়ে সরকারি চাকুরী করার সুবাদে আব্দুর রসীদ মানুষকে মানুষ মনে করেননা সবার সাথে সবসময় অসদাচরণ করেন। এ ব্যপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গাছ কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ