জহির সিকদার ,ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেশ কয়েকটি উপজেলার বাগানে এবার মাল্টা চাষ করেছেন চাষীরা। বাগানের প্রতিটি গাছের ঢালে ও শাখা প্রশাখায় মাল্টা ধরেছে। প্রতিটি গাছে এখন ঝুলছে লাল ও সবুজ রঙ্গের মাল্টা। দেখতে ভারী অপরুপ সৌন্দর্য লাগছে এ সব কাচা-পাকা মাল্টা। এ সময় প্রতিটি মাল্টা রসে ভরা থাকে বিধায় খেতে ভারী মিষ্টি লাগে। বাগান নয় যেন এক অরুপ প্রকৃতির খেলা। আর এতে করে কৃষকরা তাদের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। সে আনন্দে ভরে উঠছে কৃষক -কৃষাণীর মন। এর মধ্যে স্বাদ ও মানে অনন্য মাল্টার বাইরের অংশ গাঢ় সবুজ আর ভেতরটা মিষ্টি রসে ভরপুর। কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার কসবা  আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলার  মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী ও উত্তম স্থান । এসব উপজেলা গুলোর মাটিতে ফলন ভাল হওয়ার কারনে কৃষকরা ভাল মুনাফা পেয়ে আসছে কয়েক বছর ধরে। মুনাফা ভালো হওয়ায় প্রতি বছরই উপজেলাগুলোতে মাল্টার আবাদ বাড়ছে। তিন উপজেলার ১৩৫ হেক্টর জমিতে বারি-১ ও বারি-২ জাতের মাল্টার চাষ করা হয়েছে। এখন মাল্টার উপযুক্ত সময় হওয়ায় গাছে গাছে ঝুলছে রসালো সবুজ পাকা ও কাচা মাল্টা। আর কিছুদিন পরই পরিপক্ক হবে মাল্টাগুলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে জেলার তিন উপজেলায় মাল্টা চাষ হচ্ছে। স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় প্রতি বছরই কৃষকরা সবুজ মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন। কোনো ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার ছাড়া সবুজ রঙের মাল্টা স্বাদে ও মানে ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি। প্রতি কেজি সবুজ মাল্টা পাইকারদের কাছে ৮০ থেকে একশ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। বাজারে আসা অধিকাংশ পাইকার সরাসরি কৃষকের বাগান থেকে মাল্টা কিনছেন। পাইকারদের মাধ্যমেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাল্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হয়ে থাকে ।

মাল্টা চাষী শিপন মিয়া জানান, বাড়ির পাশে ৪০ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন তিনি। এবছর ফলন কিছুটা বেশি হয়েছে। যে কারনে অন্তত এক টন মাল্টা পাওয়া যাবে। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা হবে। পুরো বাগান পরিচর্যায় তার মাত্র ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানান এই চাষী। মাল্টা চাষী রফিক মিয়া বলেন, এবার তার জমিতে মাল্টার ফলন খুব ভালো হয়েছে। পাইকারদের কাছে পুরো বাগানটি সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবে বলে জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, এ বছর ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ফলনের আশা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের আবাদ কৌশল ও পোকা-মাকড় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে