জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা।। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বিজয়নগরের বিশ্বনাথ সাহা একজন সফল উদ্যোক্তা। সেই সঙ্গে একজন কৃষক ও মাটির মানুষ বলেছেন বিজয়নগরের ইউএনও । তিনি মাটি থেকে সোনা ফলাতে জানেন। তার চেয়ে বড় পরিচয়  তিনি সমাজের হতাশাগ্রস্ত বেকার তরুণ যুবকদের জন্য একজন পথ প্রদর্শক ও।
বিগত কয়েক বছর ধরে বিশ্বনাথ সাহা সাম্মাম ফলের চাষ করে চলেছেন । আর এ কাজ করতে  গিয়ে তাকে প্রথমে নানা চড়াই-উতরাই অতিক্রম করতে হয়েছে। নানাবিধ প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাওয়া লাগলেও তিনি  নিজেকে আস্তে আস্তে গুছিয়ে নিয়েছেন । হাজার ও বাঁধা বিপত্তি  তিনি কঠিন অধ্যাবসায়ের দ্বারা  জয় করেছেন। এ বছর একটি ৮ শতাংশের একটি জায়গায় এই ফলের চাষ করেছেন। গত দুই মাসের কায়িক পরিশ্রম আর ১০,০০০/- টাকা বিনিয়োগে তিনি ৪০-৫০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান। বাড়ির পাশেই একটি জমিতে করেছেন সিডলেস লেবু, সাম্মাম, গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ। জমির আইলে করেছেন রেডলেডি জাতের পেঁপের গাছ। সাফল্যের কথা  জানতে চাইলে শিশুসুলভ হাসি দিয়ে বলেন, আমার বিনিয়োগের টাকা উঠে এসেছে। বাকিটুকু বিক্রি করতে পারলে যা পাব সবটাই লাভ। হিসেব দিলেন এক-চতুর্থাংশ ফসল বিক্রি করেই তার বিনিয়োগের টাকা উঠে এসেছে। বাকি তিন-চতুর্থাংশ বিক্রির টাকা তার মুনাফা।সম্প্রতি বিশ্বনাথ সাহার উদ্যোগটি দেখতে ছুটে চলে যান বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার।  তারা জানালেন এখানে বিষাক্ত কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক টোপ ব্যবহার করে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমন করা হয়েছে। তাই ফসল গুলো শতভাগ বিষমুক্ত এবং দেহের জন্য অত্যন্ত নিরাপদ। বেকার যুবক,  যারা চাকরির জন্য হাহাকার করছেন তারা এমন উদ্যোগগুলো অনুসরণ করতে পারেন বলে জানান ইউ এনও ।  এখন জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কৃষি কাজে ঋণ প্রদান, সার বিতরণ থেকে শুরু করে সরকারের পক্ষ থেকে  নানামুখী প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। নিজের ভাগ্য নিজের হাতে গড়ে নেয়ার এই সুবর্ণ সুযোগ, আসুন সবাই এ সুযোগটাকে কাজে লাগাই। সারাদেশে এমন অসংখ্য উদ্যোক্তা সৃষ্টি হোক। বাংলাদেশ হোক ফসল ও ফল উৎপাদনে শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে