রেজা মাহমুদ,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি।। হারানো মোবাইল খুঁজে বের করাই যেন তাঁর অন্যতম নেশা। তিনি হলেন নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ওবাইদুর রহমান।ইতিমধ্যে ছিনতাই অথবা হারিয়ে যাওয়া অন্তত  তিনশ মোবাইল খুঁজে তিনি তুলে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে। এমন তথ্য জানিয়েছেন সৈয়দপুর থানা পুলিশ।

সৈয়দপুর থানা সূত্রে জানা যায়, মোবাইল হারানোর সাধারণ ডায়েরি হলেই ডাক পড়ে তাঁর। মরুভূমিতে সুই খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততায় কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর বা বিকেল হয় তা খুব একটা টের পান না। ২০০৩ সালে কনস্টেবল হিসেবে কর্মজীবন শুরু ওবাইদুরের। ১৮ বছরের চাকরি জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় পার করেছেন হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায়। এ থানায় যোগদান করেন ২০১৯ সালে।  বিগত দুই বছরে শুধু সৈয়দপুর থানার জিডির বিপরীতেই ৩০০ মোবাইল গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। কোনোটিতে সময় নিয়েছেন দুই থেকে পাঁচ দিন, কোনোটির জন্য  দুই বছর। মোবাইল খোঁজার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য তার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওবাইদুর রহমান বলেন, অনেকসময় গরীব রিক্সাওয়ালা কিংবা শ্রমিকরা তাঁদের হারানো ফোন উদ্ধারের আশায়  জিডি করেন। সমান গুরুত্বের সাথেই আমি তাঁদের হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি। তিনি বলেন, অনেক দামি জিনিস হারানোর চাইতে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি। জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিলে তাঁরা অনেকে বিশ্বাসই করতে চায় না। তাঁদের আনন্দে মনটা ভরে ওঠে। রাজ্জাকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, আমার ফোন হারিয়ে যাওয়ায় সৈয়দপুর থানায় জিডি করি। ফোনটি পাওয়ার আশা ছেঁড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু চার বছর পর যখন পুলিশ অফিসার ওবাইদুর রহমান ফোন উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি জানান তখন প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। পরে তিনি  আমার হাতে ফোনটি তুলে দেন।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, ওবাইদুর রহমান একজন চৌকশ পুলিশ অফিসার। জিডির ভিত্তিতে মোবাইল ফোন উদ্ধারে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে