জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারা মাছের উৎপাদন কিভাবে বাড়বে তা বুঝাতে পুকুর পাড়ে চলে গেলেন। তারা উপজেলা সদর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে চলে যান সাতপাড়া গ্রামে।  সেটা আবার আখাউড়া-আগরতলা সড়ক হয়ে পিচ ঢালাই সরু পথে যেতে হয় দুই কিলোমিটারের মতো। সেখানে পুকুরপাড়ে তৈরি করলেন মঞ্চ ছোট আকারের। ছোট্ট একটি প্যান্ডেলে বসে থাকা লোকজনের কাছে মাছচাষিরা নিয়ে আসছেন পানি। মৎস্য অফিসের  লোকজন বিভিন্ন  প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার পুকুরের পানিতে ক্ষার ও এসিডের পরিমাণ কত সেটা পরিমাপ করে দিচ্ছেন। একই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে কিভাবে মাছের উৎপাাদন বাড়বে তার ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ।

মঙ্গলবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিস  উক্ত ব্যতিক্রমী ব্যবস্থার আয়োজন করে। সাতপাড়ার পাশাপাশি তারা রহিমপুর গ্রামেও একই আয়োজন করেন। দুপুর ১২টার দিকে সাতপাড়ার আয়োজনে বক্তব্য দেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতি কণা দাস, মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, কালের কণ্ঠ’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু। পরে রহিমপুরেও একই ধরনের আয়োজনে মৎস্যচাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়। সাতপাড়ায় আসা মৎস্যচাষি হিরন মিয়া জানান, তার পুকুরের পানিতে ক্ষার ও এসিডের পরিমাণ ৮.১ মাত্রার বলে জানানো হয়েছে। এই মাত্রা স্বাভাবিক বলে তাকে জানানো হয়। তিনি পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল ইত্যাদি মাছ চাষ করে গত বছর ভালো লাভ করেছেন বলে জানান। এরশাদ মিয়া নামে আরেক চাষি জানান, ৬০ শতাংশের পুকুরে তিনি কেজিতে চারটা ওজনের মাছ ছেড়েছেন। এখানে এসে তিনি বিভিন্ন পরামর্শ পেয়ে উপকারীতা লাভ করবেন বলে আশাবাদী। ফেরদৌস মিয়া জানান, তিনিও পুকুরের পানি পরীক্ষা করিয়েছেন। পাশাপাশি তারা আরো চাষির পানি পরীক্ষা করে করণীয় সম্পর্কে বলেছেন। উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকজন মাছ চাষে বিভিন্ন সময় পরামর্শ দেন বলেও জানান তিনি। মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘মাছ চাষে আখাউড়া উপজেলা অনেকটা এগিয়ে। আমরা চেষ্টা করি মাছচাষিদেরকে সব ধরনের সেবা দেওয়ার। এরই অংশ হিসেবে এলাকায় গিয়ে গিয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতি কণা দাস বলেন, ‘পানিতেই মাছের সংসার। তাই সবার আগে পানির অবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে। পানিতে ক্ষারের মাত্রা সাড়ে সাত থেকে সাড়ে আট পর্যন্ত হলে সেটা আদর্শ। মাছের খাবার দেওয়া, পানিতে চুন দেওয়ার বিষয়েও সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। অতিরিক্ত খাবার কিংবা চুনে মাছের ক্ষতি হয়। পোকামাকড় যেন না হয়, সে জন্য পুকুরপাড়েও চুন দেওয়া যেতে পারে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে