ডিজিটাল কারেন্সি বিটকয়েন তথা ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের স্বীকৃত বা বৈধ মুদ্রা নয়। এসব মুদ্রার বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবিও করা যাবে না। তাই এ ধরনের মুদ্রায় লেনদেন ও প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়, অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রা তথা বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপ্পল ও লিটকয়েন বিভিন্ন বিনিময় প্ল্যাটফর্মে লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা বৈধ মুদ্রা নয়। ফলে এর বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবির স্বীকৃতিও নেই।
এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদিত না হওয়ায় আইনে এর সমর্থন নেই।অনেকসময় শোনা যায় আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবি করছে আর সে মুক্তিপণ পরিশোধ করতে বলা হয় বিটকয়েনে।বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভারচুয়াল মুদ্রা। মুদ্রাটির দাম ওঠা-নামার মধ্যেই রয়েছে। বর্তমানে এটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে তা এখন ব্যবহার হচ্ছে বিনিয়োগেও। কিন্তু সাম্প্রতিক চিত্র সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মুদ্রাটির দর কমে প্রায় অর্ধেকে নামে। একপর্যায়ে একেকটি বিটকয়েন প্রায় ২০ হাজার ডলার থেকে নেমে আসে প্রায় ১২ হাজার ডলারে। একদিনে দর হারায় ৩০ শতাংশ।
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটি ইন্টারনেট সিস্টেমে একটা নির্দিষ্ট অংকে প্রোগ্রামিং করা আছে। যা চাইলে কেনা যায়। প্রতিবছর এটি অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়ে থাকে। ১০/১৫ বছর পর্যন্ত হয়তো বাড়বে তারপর আর বাড়বে না।তিনি বলেন, এটা এমন একটি কয়েন যেটি কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোনো দেশের জারি করা নয়। ইন্টারনেট সিস্টেমকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি এই সিস্টেমকে ডেভেলপ করেছে। এটাকে বলা যেতে পারে এক ধরনের জুয়াখেলা।বিটকয়েনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সম্পর্কে এই অর্থনীতিবিদ জানান, এর কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। এর সঙ্গে কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেই।
যাদের কাছে বলা যাবে এটার বিনিময়ে আমি কিছু পেতে পারি।বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নামবিহীন বা ছদ্মনামে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ