বাংলাদেশ ও ভারত জাল নোট সংক্রান্ত যৌথ টাস্ক ফোর্সের ৩ দিনব্যাপী ৪র্থ সভা ১৭’ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে শুরু হয়েছে।জাল নোট বন্ধে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্)  মোঃ মোখলেসুর রহমান সভার উদ্বোধন করেন। তিনি উদ্বোধনী বক্তব্যের শুরুতে সকলকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের মধ্যে অপরাধ দমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ছে। এর ফলে জঙ্গি দমন, জাল নোট রোধসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন সহজ হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ সহযোগিতা বিদ্যমান থাকলে উভয় দেশ উপকৃত হবে এবং ভবিষ্যতেও নানা ধরনের অপরাধ মোকাবেলা ও বিভিন্ন বিষয়ে আগাম পদক্ষেপ নেওয়া সহজতর হবে।

 

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) রৌশন আরা বেগম। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এনআইএ’র আইজি শ্রী অনিল শুক্লা ।সভায় উভয় দেশের ২৬ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সভায় জাল নোটের উৎস চিহ্নিত করা এবং জাল নোট তৈরি ও বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধিরা সম্মত হয়েছেন। এক্ষেত্রে উভয় দেশের অফিসারদের মধ্যে প্রশিক্ষণ, কাজের অভিজ্ঞতা এবং তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান এনআইএ’র আইজি শ্রী অনিল শুক্লা বলেন, উভয় দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অপরাধ দমনে আমরা যৌথভাবে কাজ করবো। এতে জাল নোট বন্ধসহ  অনেক অপরাধ দমন করা সহজ হবে।

এর আগে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল  এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম এর সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় তারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জাল নোট বন্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে