প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মোহাম্মদ হানিফ আজীবন বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় প্রোথিত থাকবেন। আগামীকাল ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র মোহাম্মদ হানিফের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ আজীবন এ দেশের মানুষের অন্তরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় প্রোথিত থাকবেন।’ তিনি বলেন, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম এ প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদেরকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে আরো নিবেদিত হয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে।
বাণীতে শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, হানিফ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফা ঘোষণার সময় থেকে তিনি জাতির পিতার একান্ত সহকারী হিসেবে গভীর একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্বপালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান সদাসমুজ্জল। স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই অকুতোভয় নেতা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। সেদিন মোহাম্মদ হানিফ মানবঢাল তৈরি করে আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। মস্তিষ্কসহ তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে গ্রেনেডের অসংখ্য স্প্রিন্টারে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও মস্তিষ্কের স্প্রিন্টার নিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বাণীতে তিনি মোহাম্মদ হানিফের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র ঃ বাসস
অনলাইন ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ