চিকিৎসার নামে প্রতারণা নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত হাজারো অভিযোগ আসে ভুয়া চিকিৎসকের নানা অপকর্মের। মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে হচ্ছে জেল-জরিমানাও।

চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিএমডিসি বলছে, প্যাড, ভিজিটিং কার্ড আর বিলবোর্ডে ডাক্তাররা তাদের নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার না করায় ঠেকানো যাচ্ছে না প্রতারণা। চারদিকে নকলের ছড়াছড়িতে কে ভুয়া আর কে সঠিক বোঝা বড় দায়। ব্যতিক্রম নয় দেশের চিকিৎসা খাতও। ফলে ভুয়া ডাক্তারের খপ্পরে প্রায়ই প্রতারিত হয় সাধারণ মানুষ। সমাধানে ২০১৪ সালে চিকিৎসকদের একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল- বিএমডিসি।

ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে, ৮২ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসকের তথ্য। বিএমডিসির দেয়া নিবন্ধন নম্বরে সার্চ দিলে পাওয়া যায় এক একজন চিকিৎসকের বিস্তারিত পরিচয়। কিন্তু অনুসন্ধান বলছে- অনেক চিকিৎসকই তাদের নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করেন না। ভিজিটিং কার্ড, প্রেসক্রিপসন প্যাড কিংবা সাইনবোর্ড জুড়ে নানা ডিগ্রির প্রচারণা থাকলেও নেই নিবন্ধন নম্বরের কোনো উল্লেখ।

ডাক্তারদের নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার না করাকে ভালো চোখে দেখছেন না চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপও। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, ২০১৪ থেকে ১৬ পর্যন্ত এই দু’বছরে শুধু র‍্যাবই ভুয়া ডাক্তার ধরেছে, ৩৫ জন। এর মধ্যে ২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাই র‍্যাবের এই ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শ, বিলবোর্ড, ভিজিটিং কার্ড ও প্যাডে চিকিৎসকরা নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করলে কমে আসবে ভুয়া চিকিৎসকের সংখ্যা।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে