নির্মাণ ত্রুটিতে কাঙ্খিত ফল মিলছে না ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপেসওয়েতে। মাওয়া পর্যন্ত চলাচল করা গাড়ির জন্য আলাদা সার্ভিস লেন না থাকায় মূল সড়কে বাস থামিয়ে চলছে যাত্রী ওঠা-নামা, লাগছে যানজট। বিশ্বের কোনো এক্সপ্রেসওয়েতে না থাকলেও এখানে আছে সংকীর্ণ বাস বে। সড়ক বিভাজনে ঠিক জায়গায় বসেনি বেরিয়ার।
পদ্মাসেতু চালু হলে এসব কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকির কথা স্বীকার করছে সড়ক বিভাগও। দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা মহাসড়ক। অসাধারণ নির্মাণ শৈলীর ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক মনে করিয়ে দেয় উন্নত বিশ্বের কথা। মার্চে উদ্বোধনের পর থেকেই এর সুফল পাচ্ছে জনগণ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়ক নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন। তবে, সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হয়নি এক্সপ্রেসওয়েটি। মূল সড়কের পাশে স্থানীয় যানবাহনের জন্য সার্ভিস লেন থাকলেও, স্বল্প দূরত্বের গাড়ির জন্য রাখা হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এতে মূল সড়কে গাড়ি দাঁড়ানোয় লাগছে যানজট।
সড়ক বিভাজনে স্টিল ও ব্লক বেরিয়ার একই লাইনে থাকার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। চলাচল নির্বিঘ্নে এক্সপ্রেসওয়েতে থাকে না বাস বে। তবে এ সড়কে তা রাখা হয়েছে যাত্রী ছাউনিসহ, যা খুবই সংকীর্ণ। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে স্বীকার করছে সড়ক বিভাগও।
তবে, এসব ত্রুটি সংস্কার হচ্ছে না শিগগিরই। আলাদা ডিপিপি করে মন্ত্রণালয়ে যাবে সড়ক বিভাগের প্রস্তাব। তা অনুমোদন পেলে চতুর্থ দফায় বাড়বে নির্মাণ ব্যয়। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় এসব ত্রুটি সংস্কার করতে হবে দ্রুত। এ মহাসড়কটি ব্যবহারে সব যানবাহনকেই দিতে হবে টোল, তবে তা আদায় শুরু হবে পদ্মাসেতু চালুর পর।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ