জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আদালতের আদেশে আজ সোমবার(১৭ আগষ্ট) বিকালে দাফনের ২ মাস পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়। নিহত বায়েজিদের বাবা হেলাল মিয়া মৃত্যুর ২ মাস পর বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই ২০২০ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২১জুলাই ২০২০ আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আদেশ দেন।
সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের কবরস্থান থেকে আদালতের আদেশে বায়েজিদের লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়না তদন্তেরর জন্য লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত বায়েজিদ সরাইল উপজেলার কাটানিসার গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার ছেলে। এ সময় সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা, সরাইল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো:শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ১৩মে ২০২০ কাটানিসার গ্রামের মাসুক মিয়া তার ছেলেকে মারধর করে তাদের পুকুরের ঘাটলায় রক্তাক্ত অবস্থায় বায়েজিদ(৮) ফেলে রেখে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে বায়েজিদের অবস্থার অবনতি হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় বায়েজিদ। পরে বায়েজিদকে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ময়না তদন্ত ছাড়াই তার গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মামলার বাদী নিহতের পিতা হেলাল মিয়া তার অভিযোগে বলেন, তার ছেলে বায়েজিদকে প্রতিবেশী মাসুক মারধর করে তাদের বাড়ির পুকুরের ঘাটলায় ফেলে চলে যায়। নিহতের পিতা হেলাল মিয়া ঘটনার ২ মাস পর ঘটনা জেনে মামলা দায়ের করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, আদালতের আদেশে সোমবার লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ