কক্সবাজারের পাড়া-মহল্লা সব জায়গাতেই পুলিশের সোর্সদের দাপট। টেকনাফ-উখিয়া জুড়ে দুই শতাধিক সোর্সের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মানুষকে হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ৩১ জানুয়ারি আবদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। ৫০টি ইয়াবাসহ কারাগারে চালান দেয়া হয় তাকে। তবে আবদুল্লাহর অভিযোগ, পারিবারিক শত্রুতার জেরে সোর্সের প্ররোচনায় তাকে আটক করে ইয়াবা দিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

টেকনাফের পাড়া-মহল্লা সবখানেই পুলিশের সোর্স বা ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের পাহাড়। সাধারণ মানুষকে পুলিশি হয়রানির ভয় দেখিয়ে নানা অপরাধমূলক কাজ করে যাচ্ছে তারা। গ্রাম পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রভাবশালী, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যসহ অনেকেই পুলিশের সোর্স। চিহ্নিত মাদক কারবারি ও দাগী অপরাধীও আছে এই তালিকায়। তবে অভিযোগ পেলে নিজের কমিটির সদস্যদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি।

সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের ঘনিষ্ঠ ৩ জন। তাদের রিমান্ডে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে