নিউজ ডেস্ক, কুড়িগ্রাম।। বিশ্ব যুব দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরাম বন্যাত্রদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছে চিলমারী, কুড়িগ্রামের দূর্গম চরাঞ্চল চর উদনা, চর বড়ভিটা, নয়ার চরে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এসকল চরাঞ্চল ইতিপূর্বে কোন ত্রান সামগ্রী নিয়ে কেউ যায়নি এবারের বন্যা বা এর পরবর্তী সময়ে। এই কার্যক্রম সমাপ্তি করে বিওয়াইসিএফ এর সন্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় শাহ্ মজিবুল হক বলেন, “আমরা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সাবেক সদস্য এবং বর্তমানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিবন্ধিত যুব সংগঠন আমরা সব সময় চেয়েছি বাংলাদেশের যে কোন দূর্যোগময় সময়ে একদল দেশপ্রেমিক যুবকদের সমন্বয়ে একটি সেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়ে ঝাপিয়ে পরতে। আমি সবসময়ই অবাক হয়েছি, সকল সাবেক ক্যাডেটগনের সাড়া পেয়ে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। মাত্র ৩ দিনের প্রস্তুতিতে ২০০ পরিবারের ৫০০ জন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাড়াতে পেরে ভাল লাগছে। যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমি আমাদের সংগঠনের সকলকে দিতে চাই। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ বিএনসিসি শাখার কথা না বল্লেই নয়, তাদের সাবেক ও বর্তমান ক্যাডেটগনের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের এবারের কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল আব্দুল মান্নান, ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল নাসির, বিএনসিসি’র বিটিএফও প্রফেসরস আন্ডার অফিসার ইলিয়াছুর রহমান এবং রোবার স্কাউটের কলেজ শাখার দ্বায়িত্বে থাকা সাইদুর রহমান দুলু মহোদয়গনের ভূমিকা আমাদেরকে ভবিষ্যতে অনুপ্রাণিত করবে। “কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কোভিড১৯ করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় সারা বাংলাদেশে আমাদের আঞ্চলিক সদস্যগন আঞ্চলিক ভেদে এবং কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকেও বিভিন্ন অঞ্চলে দুস্থদের ত্রান ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন করেন৷ যার পরিমান ছিল ৩৫০০ পরিবারেরও বেশী। নগদ অর্থ ও খাদ্য দ্রব্যাদি ছিল উপকরন। এবারও আমরা শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরন ওষধ ও দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন এমন সকল পন্য নিয়েই এই ত্রান কার্যক্রম করেছি। এমন বৃহৎ ও মহৎ কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারাটা বরাবরই বিশেষ অনুভূতি দেয় আমাকে।” মুঠোফোনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাসুম হান্নান জানান, ” বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ানো আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব।

এমনিভাবে বাংলাদেশের সকল দূর্যোগে বিওয়াইসিএফ এর সামষ্টিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।” এছাড়াও ছিলেন ঢাকা জেলা হতে বিওয়াইসিএফ এর এই ত্রান বিতরন কার্যক্রমের প্রতিনিধি এস. এম. জুলফিকার আলী অনীক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ” এবারের বন্যার সবথেকে গুরতর দিক আমাদের দৃস্টিতে তা হল, অনেকেই হয়ত সহযোগিতার মনোভাব রাখেন কিন্তু করোনাকালীন সময়ের যে অর্থনৈতিক বিরুপ প্রভাবের দরুন কিছুই করতে পারছেন না আবার চুপচাপ বসেও থাকতে পারছেন না। আমরা বিওয়াইসিএফ আপনাদের এই মনোভাবকে সন্মান জানাই, অন্তত বিবেক জাগ্রত রেখেছেন এমন ক্রান্তিলগ্নেও। আরেকটি বিষয়ের প্রতি দৃস্টি আকর্ষণ করে আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় শাহ্ মজিবুল হক স্যার আমাদেরকে প্রস্তুত হতে বলেছেন তা হল আগামী শীতকালীন বস্ত্র ও ত্রান সহযোগিতা নিয়ে। করোনাকালীন সময়ের অর্থনৈতিক অবস্থা, বর্তমান বন্যা ও তার পরবর্তী অবস্থা আমাদেরকে এমন ভাবনা ভাবতে বাধ্য করছে।

বিওয়াইসিএফ’র নেতৃবৃন্দের সঠিক দিক নির্দেশনায় এই কার্যক্রম যেভাবে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, আগামীতেও করতে পারবো। আমাদের সাথে এই কার্যক্রমে যোগ দেয়ার জন্য মিডিয়া পার্টনার “বিডি টাইমস নিউজ”কে ধন্যবাদ জানায়। এই কার্যক্রমে আরও যারা সম্পৃক্ত হয়ে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য জাহিদুল হাসান হৃদয়, মাসুক মেহেদী, কাজী ইকরামুল হাসান প্রান্ত, শেখ আমিনা, এস কে হাসান, শাহজাহান সবুজ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের আরিফ ভাই, মাসুদ মেহেদী, হাবিব, শামীম রেজা কুড়িগ্রাম মহিলা কলেজের সুমাইয়া জাহান সুমি, মৌসি, কুলসুম ,আরিনা।

উল্লেখ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা দেশে ১০,০০০ বৃক্ষ রোপনপর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সংগঠনটি। ইতিমধ্যে প্রায় ৬,৫০০ হাজর বৃক্ষরোপন করেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনের চেয়ারম্যান মহোদয় জানান, আমরা বৃক্ষরোপন কর্মসূচিটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রমে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০,০০০ বৃক্ষরোপন করা। যা অত্যন্ত আনন্দের সাথে পালিত হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১,০০,০০০ বৃক্ষরোপনের আহ্বানে সাড়া দিতে পেরেছি এটাই আমাদের সকলের কাছে আনন্দের বিষয়। উল্লেখ্য আগস্ট মাসের ১২ তারিখ বিশ্বব্যাপি যুব দিবস পলিত হয়। বাংলাদেশ ইয়থ ক্যাডেট ফোরাম কেক কেটে এ দিবস পালনের থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান সহযেগিতা করে দিবসটি পালন করে অনন্য নজির স্থাপন করলো।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে