সাইবার নিরাপত্তায় ঘাটতি উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
হ্যাকিং নয়, ভুয়া ই-মেইল বার্তার শিকার বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের ই-মেইল আইডি থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য বিভাগে গেছে ভুয়া ই-মেইল বার্তা। এ বিষয়ে তদন্তে সহযোগিতা চেয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক বছর আগে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয় রিজার্ভের ৮শ কোটি টাকা। এবার ভুয়া ই-মেইল বার্তার শিকার হলো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১৪ মার্চ রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের একটি ইমেইল আইডি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য বিভাগের ই-মেইলেও ভুয়া বার্তা পাঠানো হয়।
ই-মেইলের সঙ্গে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু নথিও। যদিও ই-মেইল বার্তায় অর্থ লেনদেন করার কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে পুরো বিষয়টিই নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। কোনো কর্মকর্তা ভুয়া বার্তাযুক্ত ই-মেইল পেলে, তাদের সতর্ক থাকতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তদন্তের স্বার্থে এরইমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কারিগরি সহায়তা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অফিসিয়াল মেইল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিং বাড়ানোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ