সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপির আকার না কমালেও বাস্তবায়নে গতি নেই। অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩৭ ভাগ। বাকি চার মাসে ৬৩ ভাগ বাস্তবায়নের আশা করছে সরকার। তবে এতে কাজের গুনগত মান ঠিক রাখা নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। মাঝপথে কিছু প্রকল্প ঢুকে যাওয়ায় বড় প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।

অর্থবছরের শুরুতে একগাদা প্রকল্প গ্রহণ, মাঝামাঝিতে কাটছাট আর শেষে এসে বাস্তবায়নে তড়িঘড়ি। এডিপি বাস্তবায়নের একই চিত্র এবারেও। অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৬ দশমিক ৯ ভাগ। শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে বাকি চার মাসে খরচ করতে হবে এডিপির ৬৩ ভাগ অর্থ। অর্থাৎ প্রতিমাসে খরচ করতে হবে সাড়ে আঠারো হাজার কোটি টাকা।এবার আকার না কমিয়ে সংশোধিত এডিপি পাশ করেছে সরকার। তবে বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই। আটটি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের বাস্তবায়নের হার ২৫ ভাগের নিচে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, খাদ্য ও শিল্পমন্ত্রণালয়। আর দুর্নীতি দমন কমিশন কোন অর্থই খরচ করতে পারেনি। তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় বাকি চার মাসে শতভাগ বাস্তবায়নের আশা সরকারের।

জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি এই সময়ে প্রতিমাসে খরচ হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। আর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত গড়ে খরচ করতে হবে তিনগুণের বেশি। এই শেষ সময়ে এডিপি বাস্তবায়নে তড়িঘড়িতে কাজের মান নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।চলতি অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ধরা হয় ১ লাখ ১০ হাজার ৭শ কোটি টাকা। এতে ৭ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক সাহায্য কমলেও সরকারি অর্থায়ন বাড়িয়ে এডিপির আকার ঠিক রাখা হয়।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে